Advertisement
Advertisement

Breaking News

Myanmar

সেনা নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকের বাইরে বিস্ফোরণ, রক্তস্নাত মায়ানমারে মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়াল

বিস্ফোরণের পর গোটা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

Myanmar's post-coup civilian death toll past 700 | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 12, 2021 1:46 pm
  • Updated:April 12, 2021 2:11 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণতন্ত্রকামীদের দমাতে নির্বিচারে হত্যার পথ বেছে নিয়েছিল জুন্টা। এবার পালটা প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন মায়ানমারের (Myanmar) আমজনতা। সেনার উপর চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছেন তাঁরাও। যেমন রবিবার সকালে মান্দালয়ের মায়াদি ব্যাংকের বাইরে বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে এক নিরাপত্তাকর্মী গুরুতর জখম হন। এদিকে সেনার অকথ্য অত্যাচারে এ দেশের মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়াল।

মায়াদি ব্যাংকের বাইরে বিস্ফোরণ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এই ব্যাংকটি পরিচালনা করে সে দেশের সেনাবাহিনী। এই ব্যবসা থেকেই মোটা টাকা আয় করে তারা। কিন্তু ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মায়ানামারের আমজনতা ব্যাংকটিকে বয়কট করতে শুরু করেছেন। এমনকী, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থও তুলে নিতে চাইছেন অনেকে। এর মাঝেই ব্যাংকটির সবচেয়ে বড় শাখার সামনে বিস্ফোরণের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সে দেশের সেনাবাহিনী। বিস্ফোরণে হতাহতের খবর না মিললেও গোটা এলাকায় নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : ফের জর্জ ফ্লয়েডের স্মৃতি আমেরিকায়, পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ]

এদিনে রক্তবন্যা বইছে মায়ানামারের বাগো শহরে। দেশের নেত্রী আন সান সুকি-র মুক্তি চেয়ে শুক্রবার থেকে আন্দোলন শুরু হয়। সেই আন্দোলন কড়া হাতে দমন করতে উদ্যোগী হয় জুন্টা। নির্বিচারে অত্যাধুনিক রাইফেল থেকে গুলি চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা। এর ফলে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮০ জন বিক্ষোভকারীর। তারপরের দিন শনিবারও সেখানে সংঘর্ষ হয়।স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ঘটনার পর বহু মানুষকে রক্তাক্ত অবস্থায় সেনাবাহিনীর গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে সঠিকভাবে মৃতের সংখ্যা কত তা জানা সম্ভব নয়। আর সেনার ভয়ে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও মুখ খুলছেন না। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ইতিমধ্যে সে দেশে মৃতের সংখ্যা ৭০০ পেরিয়ে গিয়েছে। 

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ আচমকা মায়ানমারের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেয় সেনাবাহিনী। গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে বন্দি করা হয় দেশটির কাউন্সিলর আং সাং সু কি ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের। তারপর থেকেই গণতন্ত্র ফেরানোর ডাক দিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশটি।

[আরও পড়ুন : ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে ‘দুর্ঘটনা’, নেপথ্যে বিদেশি শক্তির হাত দেখছে তেহরান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ