সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংঘাত বাড়িয়ে এবার ভারতীয় নিউজ চ্যানেলগুলির সম্প্রচার বন্ধ করল নেপাল। সে দেশের Multi-System Operators-দের (MSO) এই সিদ্ধান্তে বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ আজ থেকেই দুরদর্শন ছাড়া পড়শি দেশটিতে দেখা যাবে না কোনও ভারতীয় নিউজ চ্যানেল।
[আরও পড়ুন: ফের সেনা অভ্যুত্থানের ছক পাকিস্তানে? বরখাস্ত পাক ফৌজের ৩ জেনারেল]
নেপালের MSO বা সম্প্রচারসেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির অভিযোগ, ভারতীয় নিউজ চ্যানেলগুলিতে তাঁদের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। চিনের সঙ্গে ওলির সম্পর্ক নিয়ে বিভ্রান্তিকর খবর পরিবেশন করছে ভারতীয় চ্যানেলগুলি। এদিকে, আজই নেপালের শাসকদল ‘নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি’র মুখপাত্র নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের নিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তিনিও অভিযোগ জানিয়েছেন যে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রধানমন্ত্রী ওলির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে ভারতীয় মিডিয়ায়। বিশ্লেষকদের মতে, কাঠমান্ডুর নির্দেশেই এই কাজ করা হয়েছে।
সম্প্রতি, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারির সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছেন চিনের রাষ্ট্রদূত হউ ইয়ানকি। শুধু তাই নয়, দেশের শাসকদল ‘নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি’র অন্যতম শীর্ষনেতা মাধব কুমার নেপাল-সহ একাধিক শীর্ষস্তরের আমলার সঙ্গেও আলোচনা চালিয়েছেন চিনা রাষ্ট্রদূত। বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির মসনদ বাঁচাতেই আসরে নেমেছে চিন। নেপালের শাসকদলের মধ্যে কলহ মিটিয়ে ‘চিনপন্থী’ ওলিকেই আসনে রাখতে মরিয়া চিন। তাই মাধব নেপালের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন চিনা রাষ্ট্রদূত। উল্লেখ্য, জাতীয়তাবাদের এককালের বন্ধু থেকে বর্তমানের বিক্ষুব্ধ শিবিরের প্রধান সেনাপতি পুষ্পকমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ডের সঙ্গে কিছুতেই বনিবনা হচ্ছে না তাঁর। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে ইস্তফা দিতে হলে শাসক দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টিকে (NCP) দু’টুকরো করে ফেলার হুঁশিয়ারিও দিয়ে ফেলেছেন ওলি। শনিবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে ওলি অভিযোগ করেন, ভারতের (India) ষড়যন্ত্রে শামিল হয়ে দলেরই একাংশ তাঁকে তাঁকে পদচ্যুত করার চেষ্টা করছে।