সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার সুইডেনের ওরেবেরোয় আততায়ীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ জন। কয়েকদিন আগে স্টকহোমের অ্যাপার্টমেন্টে মিলিশিয়া নেতা সালওয়ান মোমিকার গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে সুইডেনের স্টকহোম, মালমো, গোথেনবুর্গের মতো শহরে গ্যাংওয়ার চূড়ান্ত রূপ ধারণ করেছে। এহেন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উইফ ক্রিস্টারসন। বলছেন, বাড়তে থাকা হিংসায় তাঁদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।
তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”এটা সুইডেনের এমন এক সমস্যা, যা অনেক দিন ধরেই ঘটে চলেছে। এই হিংসার ঢেউয়ের উপর আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, এটা স্পষ্ট।” প্রসঙ্গত, সুইডেনের এই পরিস্থিতি হঠাৎ নয়। ইউরোপের সবচেয়ে বড় ‘গান ভায়োলেন্স’ হয়েছে সুইডেনেই। মাত্র এক কোটি জনসংখ্যার দেশে ২০২৪ সালের স্রেফ ডিসেম্বরেই গ্যাংওয়ারের বলি ৪০! শতাংশের বিচারে যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তবে এরও আগে গত শতকের নয়ের দশক থেকেই গ্যাংয়ের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে সুইডেনে। যা ক্রমশই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কিন্তু বলা হচ্ছে, সুইডেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সব হিসেব ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, ইউরোপীয় দেশটি কীভাবে এমন অভূতপূর্ব সহিংসতার মধ্যে পড়ল? এর জন্য কি মুসলিম দেশ থেকে আসা অভিবাসীরা দায়ী?
আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন জনতাকে বেআইনি অভিবাসন এবং পুনর্বাসনের হাত থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ২০২৪ অর্থবর্ষে ১৫২৯ জন ভারতীয়কে সরিয়ে দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। কিন্তু এবার মার্কিন প্রশাসন আরও কড়া হতে চলেছে। এরই মধ্যে সুইডেনের পরিস্থিতিও চরম আকার ধারণ করেছে। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী যা নিয়ে আতঙ্কিত। সব মিলিয়ে আমেরিকার পাশাপাশি অভিবাসী-সিঁদুরে মেঘ ইউরোপের আকাশেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.