Advertisement
Advertisement

Breaking News

মিসাইল

দু’সপ্তাহে চতুর্থবার, ফের উত্তাপ ছড়িয়ে উড়ল কিমের জোড়া মিসাইল 

ফের যুদ্ধের হুমকি কিমের।

North Korea fires more missiles as South starts joint drill with US

ফের যুদ্ধের হুমকি কিমের।

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 7, 2019 10:14 am
  • Updated:August 7, 2019 10:14 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সংঘাতের সম্ভাবনা উসকে দিল উত্তর কোরিয়া।  ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল কিমের সেনা।  এনিয়ে দু’সপ্তাহে চার বার মিসাইল উৎক্ষেপণ করল পিয়ংইয়ং।  মিসাইল পরীক্ষা আমেরিকার জন্য বার্তা বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির একনায়ক প্রেসিডেন্ট কিম জং উন।      

[আরও পড়ুন: ৯/১১ হামলার রহস্য ফাঁস করতে চলেছে গুয়ান্তানামোয় বন্দি আল কায়দা নেতা]]

Advertisement

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা জানিয়েছে, মঙ্গলবার দক্ষিণ হংহে প্রদেশ থেকে দু’টি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। মাটি থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার উপর দিয়ে উড়ে ৪৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রগুলি। এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে উত্তর কোরিয়া এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। তবে এ দিন সে দেশের বিদেশমন্ত্রক একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা যে ভাবে যৌথ সেনা মহড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাতে নিরাপত্তার খাতিরে আমরা শক্তি সঞ্চয় এবং অস্ত্রপরীক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছি।’’ গত বৃহস্পতিবার, পিয়ংইয়ংয়ের নিক্ষেপ করা আরও দুটি ব্যালিস্টিক মিসাইল গিয়ে পড়ে জাপানের সাগরে। স্থানীয় সময় অনুযায়ী ওইদিন ভোর ৫টা ৬মিনিটে ওয়ানসান বন্দরের কাছে কালমা এলাকা থেকে দু’টি মিসাইল ছুঁড়ে কিমের সেনা। প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উড়ানকালে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিলোমিটার উঁচুতে পৌঁছায় ব্যালিস্টিক মিসাইল দু’টি। তারপর সংকেত মেনেই জাপান সাগরে আছড়ে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্র দু’টি। 

Advertisement

উল্লেখ্য, গত জুন মাসে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরিস্থিতি সামান্য করতে যৌথ বিবৃতি দেন দুই রাষ্ট্রপ্রধানই। তারপরই মনে করা হয় যে দুই কোরিয়ার মধ্যে কিছুটা হলে উত্তেজনা কমবে। পাশাপাশি আপাতত মিসাইল নিয়ে আস্ফালন থেকে বিরত থাকবেন একনায়ক কিম। তবে সাত দিনের মধ্যেই চারটি মিসাইল ছুঁড়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন কিম। প্রথম দু’টি মিসাইল উৎক্ষেপণের পর সিওলকে এক প্রকার হুমকি দিয়ে কিম বলেছিলেন যে মার্কিন সেনার সঙ্গে সামরিক মহড়ার নামে ‘আগ্রাসন’ ও ‘উসকানিমূলক’ কার্যকলাপ বন্ধ না করলে ফল ভোগ করতে হবে দক্ষিণ কোরিয়াকে। সব মিলিয়ে নিকট ভবিষ্যতে দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা কমার আশা এই মুহূর্তে নেই বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।  

[আরও পড়ুন: খরার জের, জেগে উঠল ২০ বছর আগে ডুবে যাওয়া বৌদ্ধমন্দির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ