সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর কোরিয়া মানেই রহস্যে ঘেরা এক দেশ। সে দেশের হাঁড়ির খবর বাইরের দুনিয়ায় আসা এক কথায় অসাধ্য। কিম জং উনের দেশে না রয়েছে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, না কারও সাহস রয়েছে ভিতরের খবর বাইরে আনার। তাই যাবতীয় খবরের জন্য সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম, প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া ও গুটিকয়েক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের উপরেই নির্ভর করে থাকতে হয় তামাম বিশ্বকে। এবার সেই উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক, খ্যাপাটে যুদ্ধবাজ নেতা কিম জং উন দাবি করে বসলেন, তিনি নাকি আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
সম্প্রতি ছুটি কাটাতে কিম গিয়েছিলেন মাউন্ট পিকটুতে। চিন ও উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে এটি একটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি। সেখানেই দাঁড়িয়ে হাসিমুখে ‘পোজ’ দিয়ে দেদার ছবি তুলেছেন কিম। সেই ছবি প্রকাশ করেছে সরকারি সংবাদমাধ্যম। আর সেই ছবির সঙ্গে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘আমাদের সুপ্রিম কমান্ডার আবহাওয়াকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।’ কিন্তু কেন এরকম আজব দাবি উত্তর কোরিয়ার? সাধারণত এই মরশুমে ২৭৭৪ মিটার উঁচু মাউন্ট পিকটু বরফে মোড়া থাকে। গাছের পাতায় বরফের স্তর জমে যায়। কিন্তু কিম যখন সেখানে যান, তখন নাকি আকাশ ছিল ঝকঝকে। এমনকী, কিম যখন সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহণ করেন, তখনও নাকি সেখানে দৃশ্য ছিল অত্যন্ত মনোরম, আবহাওয়া ছিল আরামদায়ক। সে দেশের সংবাদমাধ্যমের ইঙ্গিত, কিমের সফরের আগে কোনও মিসাইল ব্যবহার করে আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
এমন দাবি অবশ্য এই প্রথম নয়, উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম এর আগেই এমন একাধিক আজগুবি দাবি করেছে। যেমন, কয়েক সপ্তাহ আগেই সে দেশের বৈজ্ঞানিকরা নাকি এমন এক ওষুধ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে, যেটি একবার ইনজেকশনের মাধ্যমে নিলে নাকি এডস, ইবোলা, ক্যানসার, হৃদরোগ, যৌন অক্ষমতা, হেপাটাইটিস-সবই সেরে যাবে। একা কিম নন, এরকম দাবি করা হয়েছে কিমের বাবার জমানাতেও। কিম জন ইল দাবি করেছিলেন, এই পাহাড়ের বুকেই অবস্থিত এক গোপন মিলিটারি ক্যাম্পে জন্মেছিলেন এবং তাঁর জন্মের সময় আকাশে একসঙ্গে দু’টি রামধনু দেখা গিয়েছিল। উত্তর কোরিয়ায় তাঁর যে বায়োগ্রাফি বিক্রি হয়, তাতে লেখা জীবনের প্রথম গল্ফ টুর্নামেন্টে যোগ দিতে গিয়ে ১১ ‘হোলস ইন ওয়ান’ খেতাব জেতেন যা বিশ্বে আর কোনও ক্রীড়াবিদ পারেননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.