ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৮ বছর আগের সেই স্মৃতি আমেরিকার বাসিন্দাদের কাছে এখনও টাটকা। চোখের সামনে ভেঙে পড়েছিল দুই বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র। সন্ত্রাস হামলার নৃশংসতায় কেঁপে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। সে ঘটনার ১৮ বছর অতিক্রান্ত। কিন্তু কাকতালীয়ভাবেই হোক বা পরিকল্পনামাফিক, ঠিক বর্ষপূর্তির দিনই ফের উসকে গেল সন্ত্রাসের স্মৃতি। কারণ এই দিনই ফের ভয়াবহ বিস্ফোরণে ছড়াল চাঞ্চল্য।
মঙ্গলবার রাত ১২ টার পরই আফগানিস্তানের কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের চত্বর ভয়ংকর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। অনেকখানি অংশ ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। বেজে ওঠে সাইরেন। সেই সময় দূতাবাসের ভিতরে যে কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা লাউডস্পিকারের ঘোষণায় বিস্ফোরণের খবর জানতে পারেন। তবে ওই মুহূর্তে এলাকায় কেউ না থাকায় হতাহতের কোনও খবর নেই। ঘটনার পরই যদিও আফগান আধিকারিকদের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে পরে জানা যায়, বিস্ফোরণে কেউ আহত বা নিহত হননি। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
আফগানিস্তানের রাজধানী শহরে তালিবানরা মাথাচাড়া দেওয়ায় বেজায় চটেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরপর নাশকতার ঘটনায় বিরক্ত তিনি। জঙ্গি নিশানায় কাবুলের ‘ডিপ্লোম্যাটিক এনক্লেভ’ও। আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটেছে সেখানেও৷ এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই আমেরিকা-তালিবান গোপন শান্তি বৈঠক বাতিল করে দেন ট্রাম্প। গত রবিবার টুইট করে বৈঠক বাতিলের কথা জানিয়ে দেন তিনি৷ লেখেন, “বিস্ফোরণ ও শান্তি আলোচনা একইসঙ্গে হতে পারে না। প্রস্তাবিত গোপন বৈঠক থেকে আমি নিজেকে সরিয়ে নিলাম। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যে আলোচনা চলছিল, তাও বন্ধ করে দিলাম।”
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই কাবুলে জোড়া গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছিল। যার মধ্যে ছিলেন এক মার্কিনিও। তারপরই ট্রাম্প জানিয়ে দেন, এমন আবহে মার্কিন-তালিবানের মধ্যে কোনও বৈঠক হতে পারে না। সবমিলিয়ে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ১৮ বছর পর কাবুলের ঘটনা যেন নতুন করে ইঙ্গিত দিল, যে হাজার প্রয়াসেও আফগানিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক উন্নত হওয়ার নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.