সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর ইস্যুতে বড় জয় ভারতের। কাশ্মীর ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ, ৭২ বছর পর স্বীকার করল পাকিস্তান। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একপ্রকার স্বীকারোক্তি করলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। কাশ্মীরকে ‘ইন্ডিয়ান স্টেট অব কাশ্মীর’ (ভারতের রাজ্য কাশ্মীর) হিসেবে উল্লেখ করলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘নেতা হতে চাইলে জেলাশাসকের কলার ধরো’, বিতর্কিত মন্তব্য ছত্তিশগড়ের মন্ত্রীর]
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অধিবেশনের ফাঁকে এদিন সাংবাদিকদের সামনে ভারতকে কাশ্মীর ইস্যুতে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেন পাক বিদেশমন্ত্রী। আর সেটা করতে গিয়েই বিপত্তি বাঁধিয়ে ফেলেন তিনি। সাংবাদিকদের কুরেশি বলেন, “ভারত সরকারের দাবি, কাশ্মীরে সবকিছু স্বাভাবিক আছে। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে না। জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে কেন ওখানে আপনাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না? বিদেশি সংবামাধ্যম, বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে কেন কাশ্মীরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না? আসলে, কাশ্মীরে মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। সরকার একবার নিষেধাজ্ঞা তুলে দিলেই আপনারা জানতে পারবেন ভারতের কাশ্মীর রাজ্যের(ইন্ডিয়ান স্টেট অব কাশ্মীর) আসল পরিস্থিতি কী?”
[আরও পড়ুন: চেন্নাই থেকে STF-এর জালে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত]
কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে আজ সকাল থেকেই ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে পাকিস্তান ও তাঁর বন্ধু চিন। কিন্তু, ভারতকে বিপাকে ফেলতে গিয়ে উলটে নিজেরাই বিপাকে পড়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী স্বীকার করে নিয়েছেন, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশভাগের ৭২ বছর পর্যন্ত কাশ্মীরকে ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে মানতে চাই না পাকিস্তান। পাক সরকারের দাবি, কাশ্মীরের উপর পাকিস্তানেরও অধিকার আছে। ভারতের অবস্থান ঠিক এর উলটো। ভারতের দাবি, জম্মু ও কাশ্মীর তো ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বটেই, সেই সঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং আকসাই চিনের উপরও অধিকার রয়েছে ভারতের। তাহলে কি অবশেষে ভারতের কূটনৈতিক চাপে, কাশ্মীর প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান বদলাল? আপাতত সেই প্রশ্নই রাজনৈতিক মহলে।
সব খবরের আপডেট পান সংবাদ প্রতিদিন-এ
Highlights