সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সাইকো’ নয়। ছিল না ভালবাসাও । তাও মৃত্যুর পরেও মায়ের দেহ একবছর ধরে ফ্ল্যাটে রেখে দিয়েছিল। আর তার কারণ পেনশন। অভিযোগ পেয়েই তল্লাশি চালায় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় ৬২ বছরের বৃদ্ধকে। ঘটনাটি স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের। পুলিশ গিয়ে ৯২ বছরের মহিলার পচাগলা মৃতদেহ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। পেনশনের জন্য মায়ের মৃত্যুর খবর ধামাচাপা দিয়েছিল অভিযুক্ত। বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[বিমানে মহিলাকে যৌন হেনস্তা, আমেরিকায় ন’বছরের জেল ভারতীয়র]
পাশের ফ্ল্যাট থেকে কয়েক সপ্তাহ ধরেই পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। বুধবার দুপুর একটা নাগাদ পুলিশ এসে সেই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায়। পুলিশ ও দমকলকর্মীরা ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ঢোকেন। ঘরে কফিনবন্দি এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পচে গলে ওই দেহ থেকেই গন্ধ বেরোতে শুরু করে। পুলিশের অনুমান, দীর্ঘদিন ধরে ঘরেই কফিনবন্দি ছিল ওই দেহ। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ফ্ল্যাট থেকে কয়েকসপ্তাহ ধরেই গন্ধ আসছিল। একবছর ধরে ৯২ বছরের বৃদ্ধাকে দেখেনি প্রতিবেশীরাও। অনুমান, মায়ের মৃতদেহের সৎকার না করে ঘরেই কফিনে রেখে দিয়েছিল ‘গুণধর’ ছেলে। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “ছেলের যা কাজ করা উচিত ছিল, তা করেনি।” মৃতদেহ পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে, কীভাবে বা কতদিন আগে মৃত্যু হয়েছিল বৃদ্ধার।