Advertisement
Advertisement

Breaking News

GOOGLE

‘যৌন হেনস্তাকারীদের সুরক্ষা দেওয়া বন্ধ হোক’, গুগলের CEOকে খোলা চিঠি কর্মীদের

২০১৮ সালেও গুগলের ২০ হাজারের বেশি কর্মী যৌন হেনস্তার প্রতিবাদে চিঠি লিখেছিলেন।

Over 500 Google employees have signed an open letter asking the company to stop protecting the harassers । Sangbad Pratidin
Published by: Arupkanti Bera
  • Posted:April 10, 2021 8:18 pm
  • Updated:April 10, 2021 8:18 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের উপর শারীরিক হেনস্তা বা যৌন হেনস্তার ঘটনা নতুন নয়। আর গুগলের (Google) মতো বিশ্বের প্রথম সারির তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাও সেই অভিযোগের বাইরে থাকেনি। এমনকি গুগলের ভিতর সেই অভিযোগ বারবার সামনে এসেছে।

গুগলের প্রচুর কর্মী অভিযোগ করেছেন, হেনস্তার বিষয়ে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে। এমনকী অভিযোগের কোনও সুরাহা তো হয়ইনি, উলটে হেনস্তাকারীকেই পুরস্কৃত করা হয়েছে, দেওয়া হয়েছে সুরক্ষা। এই অভিযোগ নিয়ে এবার সংস্থার ৫০০-রও বেশি কর্মী অ্যালফাবেট (গুগলের মূল সংস্থা) এবং গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইকে (Sundar Pichai) খোলা চিঠি দিলেন। দিন কয়েক আগে মার্কিন সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমসে একটি চিঠি লেখেন গুগলের প্রাক্তন এক ইঞ্জিনিয়ার এমি নেটফিল্ড। যেখানে তিনি বর্ণনা করেন গুগলে কীভাবে তাঁকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। গুগল কর্মীদের খোলা চিঠিতে এমির সেই ঘটনার উল্লেখও করা হয়। যেখানে তাঁকে তাঁর হেনস্তাকারীর পাশে বসে কাজ করতে বাধ্য করা হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘হারার ভয়ে পরিকল্পনা করে খুন! আমি ঠুঁটো জগন্নাথ নই’, মাথাভাঙার ঘটনায় হুঙ্কার মমতার]

এমি তাঁর লেখা চিঠির শিরোনাম দিয়েছেন, “গুগলের কাজ করার পর আমি আর কখনও কোনও চাকরির প্রতি ভালবাসা দেখাতে পারব না।” যেখানে তিনি অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে লিখেছেন, যিনি তাঁকে হেনস্তা করতেন তাঁর সঙ্গে একা মুখোমুখি বসে মিটিং করতে বাধ্য করা হয়। আর প্রতিবার যখনই তাঁর নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে কোম্পানির কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করতেন, তাঁকে বাড়ি থেকে কাজ করা বা ছুটিতে যাওয়া অথবা কাউন্সেলিং করানোর পরামর্শ দেওয়া হতো। এমি পরে জানতে পারেন, গুগলে তিনিই প্রথম নন, যাঁর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে। এর আগে বহু কর্মীকে বর্ণবিদ্বেষ বা লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে।

Advertisement

গুগলে অ্যান্ডি রুবিন (অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সফ্টওয়ারের শ্রষ্ঠা), ইঞ্জিনিয়ার অমিত সিঘ্ঙলের উদাহরণ রয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ছিল। কিন্তু তাঁরা যখন কোম্পানি ছাড়েন তাঁদের বিপুল পরিমাণ আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়।  ২০১৮ সালে ২০ হাজারের বেশি কর্মী এই হেনস্তাকারীদের সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিবাদ করে চিঠি লেখেন। কিন্তু গুগল এ ক্ষেত্রে তার কর্মপদ্ধতিতে কোনও পরিবর্তন করেনি। হেনস্তাকারীদের সুরক্ষিত রাখার অভিযোগ আজও একইভাবে উঠছে গুগলের বিরুদ্ধে। নতুন করে আবার দাবি উঠল, গুগলের এই ‘নীতি’ পরিবর্তনের।

[আরও পড়ুন: সার্বভৌমত্বে আঘাত! ভারতের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ঢুকে পড়ল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ]

নতুন করে খোলা চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসার পর গুগলের তরফে দাবি করা হয়েছে, কোম্পানি এই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা এবং পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রে তাদের কর্মপদ্ধতির উল্লেখ যোগ্য উন্নতি করেছে। অভিযোগকারীদের সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিও তাঁরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এখন দেখার এই সব অভিযোগ নিয়ে সুন্দর পিচাইয়ের নেতৃত্বাধীন গুগল কতটা তাদের ভাবমূর্তির উন্নতি ঘটাতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ