Advertisement
Advertisement

Breaking News

দিনের আলোর মতো স্পষ্ট দ্বিচারিতা, পাকিস্তানের সঙ্গে জইশ যোগ মানলেন মন্ত্রী

খাইবার পাখতুনখোয়ায় জঙ্গি নিয়োগ করছে জইশের শাখা সংগঠন আল বদর।

Pak double face on Pulwama exposed
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 2, 2019 3:48 pm
  • Updated:March 2, 2019 3:48 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও বেফাঁস মন্তব্য করে নিজের জালে নিজেই জড়াচ্ছেন পাক বিদেশমন্ত্রী। এবার বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহ মাহমুদ কুরেশি স্পষ্টই স্বীকার করলেন যে নেতাদের সঙ্গে মাসুদ আজহারের যোগাযোগ আছে। পুলওয়ামা হামলায় জইশ কোনওভাবে জড়িত নয় বলে পাক প্রশাসনকে জানিয়েছে মাসুদ আজহার। হামলা নিয়ে ভারত বেঠিক তথ্য দিচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে ভারতকে চাপে ফেলতে গিয়েই এমন স্বীকারোক্তি দিয়ে ফেললেন কুরেশি। আর তাতেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও নগ্ন হল পাকিস্তানের দ্বিচারিতা।

[বিষ খাইয়ে ভারতীয় জওয়ানদের হত্যার ষড়যন্ত্র আইএসআই-এর!]

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে শান্তির বার্তা দিচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সংসদ দাঁড়িয়ে বলছেন, শান্তি প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবে ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট অভিনন্দনকে নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। অথচ দেশের বিদেশমন্ত্রী একাধিকবার মুখ ফসকে বলেই ফেলছেন, জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ আছে। বিবিসি-র সাক্ষাৎকার চলাকালীন পুলওয়ামা হামলা নিয়ে ভারতের দেওয়া রিপোর্টের উপর অনাস্থা প্রকাশ করেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। কী সংশয়? সাংবাদিক এই প্রশ্ন করলে জবাবে তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘আমরা ওদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম। ওরা হামলার কথা অস্বীকার করেছে। কাজেই ভারত যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা পরস্পরবিরোধী।’ আর এখানেই একেবারে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার, পাক প্রশাসনের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগের যে অভিযোগ এতদিন উঠছিল, তার একচুলও মিথ্যে নয়। শুক্রবারই এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে কুরেশি জানিয়েছিলেন, মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই রয়েছে। তবে সে খুব অসুস্থ। ভারতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন আলোচনার টেবিলে বসার। শর্ত হিসেবে ভারত জানিয়েছিল, সন্ত্রাসে মদত বন্ধ করলে তবেই আলোচনা। সেই শর্ত ক্রমাগতই লঙ্ঘন করে চলেছে পাকিস্তান।

Advertisement

[যুদ্ধের আবহে কেন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়নি চিন?]

অন্যদিকে, পাকিস্তানের মাটিই যে সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়, তার আরও এক হাতেগরম তথ্য মিলেছে। সাধারণত জইশ, আল কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠন পাক অধিকৃত কাশ্মীর সীমান্ত লাগোয়া খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে নিরাপদে নিজেদের কাজকর্ম চালায়। শোনা যাচ্ছে, ওই এলাকায় জঙ্গি নিয়োগ করছে জইশের শাখা সংগঠন আল বদর। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই এলাকায় ভারতীয় বায়ুসেনার বোমা বর্ষণের পর বহু জঙ্গিঘাঁটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জইশ স্বীকার করেছিল। তা পুনর্গঠন করতেই ফের নতুন করে নিয়োগ করা হচ্ছে। অর্থাৎ সেই পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে বসেই সন্ত্রাসের মন্ত্রে দীক্ষিত করা হচ্ছে। তার মধ্যে বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্যে অঙ্ক সহজেই মিলে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের ধারণা, এখনই ব্যবস্থা না নিলে এবার আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বে পাকিস্তান।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ