সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়সড় ধাক্কা খেল জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। আফগান নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে দলটির শীর্ষ নেতা শেখ খালিদ হাক্কানি।
সদ্য এক বিবৃতি প্রকাশ করে টিটিপি জানিয়েছে, গত ৩১ জানুয়ারি কাবুলের কাছে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে খালিদ হাক্কানি। তার সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছে সহযোগী কারি সইফুল্লা পেশাওয়ারিও। তবে, এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেয়নি আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সেনা। বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে খালিদের নেতৃত্বেই অপারেশন চলত। তার মৃত্যুতে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে টিটিপি। এছাড়াও, দলের অন্দরেই ফের ক্ষমতার লড়াই শুরু হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
২০০৭ সালে লাল মসজিদ পাক সেনার অপারেশনের পর তালিবান জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখায় হক্কানি। ওই ঘটনার সময় মাদ্রাসার ছাত্র হক্কানির বয়স ছিল ২০ বছর। মসজিদগুলি থেকে সশস্ত্র তালিবান জঙ্গিদের বিতাড়নে ওই অভিযান চালানো হয়েছিল প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের নির্দেশে। এদিকে, দ্রুত তালিবান প্রধান বৈতুল্লাহ মেহসুদের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে খালিদ। ২০০৯ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হয় মাসুদ। পরবর্তী টিটিপি প্রধান হাকিমুল্লাহ মেহসুদেরও ঘনিষ্ঠ ছিল এই হক্কানি। মার্কিন ড্রোন হামলায় ২০১৩ সালে মেহসুদ নিহত হওয়ার আগে পর্যন্ত এই সম্পর্ক অটুট ছিল।
উল্লেখ্য, কয়কদিন আগেই ইয়েমেনে মার্কিন ড্রোনের আক্রমণে খতম হয়েছে আরব অঞ্চল (AQAP)-র শীর্ষ আল কায়দা নেতা কাসিম আল-রিমি। কুখ্যাত এই জঙ্গির নেতৃত্বে আরব অঞ্চলের আল কায়দা জঙ্গিরা প্রচুর নাশকতামূলক ঘটনা ঘটিয়েছে। এর জেরে প্রচুর সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অনেক মার্কিন সেনারও মৃত্যু হয়েছে। আমেরিকার বিরুদ্ধেও অনেক ষড়যন্ত্র করেছে সে। দীর্ঘদিন ধরেই ওই কুখ্যাত জঙ্গিকে খতম করার চেষ্টা চলছিল। অবশেষে তা সম্পন্ন হয়েছে। এই ঘটনার ফলে আরব অঞ্চলে থাকা আল কায়দার সংগঠন প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।