Advertisement
Advertisement
Hindu temple demolished in Pakistan

আন্তর্জাতিক চাপের জের! পাকিস্তানে হিন্দু মন্দির ধ্বংসের ঘটনায় ধৃত ২৬

বুধবারই ওই মন্দির ধ্বংসের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল।

Pakistan arrests 26 people over demolishing of Hindu temple। Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:December 31, 2020 3:24 pm
  • Updated:December 31, 2020 3:54 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার সোশ্যাল মিডিয়াতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকার একটি হিন্দু মন্দির ধ্বংসের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের পাশাপাশি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছিল ভারতের তরফেও। এর জেরে চাপে পড়ে রাতারাতি এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করল পাকিস্তানের পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কারাক (Karak) জেলার টেরি গ্রামের একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা চালিয়ে সেটি ভেঙে ফেলে মৌলবাদী ইসলামিক দলের কিছু সমর্থক। এই ঘটনার ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল হতেই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তানের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে। সংখ্যালঘু ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে এই অমানবিক ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানানো হয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ফলে অস্বস্তিতে পড়তে হয় ইমরান খানের সরকারকে। বাধ্য হয়ে বুধবার সারারাত ধরে তল্লাশি চালিয়ে এই ঘটনায় জড়িত ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাক শহরের পুলিশ। হামলার ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: ইউহানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসেবের ১০ গুণ বেশি! সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর দাবি]

মন্দির ধ্বংসের ঘটনা প্রসঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্প্রতি ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা মন্দিরটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার স্থানীয় এক ইমাম ও পাকিস্তানের মৌলবাদী রাজনৈতিক দল জামিয়ত উলেমা-ই-ইসলামের একদল সমর্থক ওই মন্দির হামলা চালায়। মন্দিরটি ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দেয়। তারপর আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রশাসন খবর পাওয়া সত্ত্বেও তাদের বাধা দেয়নি।

বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ধর্মীয় বিষয়ক মন্ত্রী নুরুল হক কাদেরি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। টুইট করে জানান, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্থানে আঘাত করার কথা ইসলাম কোনওদিন শেখায়নি। পাকিস্তানের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য কিছু দুষ্কৃতী এই কাজ করেছে। তাদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন: আবেদনে কর্ণপাত করলেন না ওলি, খালি হাতেই নেপাল ছাড়লেন চিনের দূতেরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ