Advertisement
Advertisement

Breaking News

কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধনে মনমোহন সিং

কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধনে মনমোহনকে আমন্ত্রণ পাকিস্তানের, বাদ মোদি

মনমোহন শিখ বলেই তাঁকে আমন্ত্রণ, জানাল পাকিস্তান।

Pakistan decided to invite Manmohan Singh for the Kartarpur Corridor
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 30, 2019 5:49 pm
  • Updated:September 30, 2019 5:49 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে পাক সরকার। তাৎপর্যপূর্ণভাবে আমন্ত্রণ পাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি একথা জানিয়েছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পাকিস্তান সরকার প্রাক্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধন পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক আলোচনার পরই মনমোহনকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডঃ সিংকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হবে। দ্রুতই ওঁকে সরকারিভাবে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন: মুসলিমদের কিডনি-লিভার কেড়ে নিচ্ছে চিন, রাষ্ট্রসংঘে অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের]


মনমোহনকে আমন্ত্রণ জানানোর কারণ হিসেবে পাক বিদেশমন্ত্রী বলছেন, মনমোহন সিং শিখ। ওঁর ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা আছে। তাছাড়া ডঃ সিং পাকিস্তানে অত্যন্ত সম্মানীয়। তাই তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল, ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধন হবে। কিন্তু, সম্প্রতি ভারত-পাক সম্পর্কের তিক্ততা এখন চরমে। এই পরিস্থিতিতে মোদি-ইমরান একমঞ্চে উপস্থিত থাকা যে একপ্রকার অসম্ভব তা বলাই বাহুল্য। তবে, পাকিস্তান যে মোদিকে আমন্ত্রণই জানাবে না সেটা অনেকটা অপ্রত্যাশিত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে ধাক্কা দিয়ে ভারতে বিপুল লগ্নির ভাবনা সৌদির]


ভারত-পাক আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরে পড়ে কর্তারপুর। প্রতি বছর ভারত-পাকিস্তান দু’দেশেরই হাজারো শিখ পুণ্যার্থী দরবার সাহিব কর্তারপুরে প্রার্থনা করতে যান। সেখানে গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে। আর সে কারণেই শিখ সম্প্রদায়ের কাছে জায়গাটি অত্যন্ত পবিত্র। সেই গুরুনানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকীকে সামনে রেখে শিখদের যাতায়াত সহজ করতে দু’দেশ সীমান্তে করিডর গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের পাঞ্জাবের গুরদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পর্যন্ত রাস্তা তৈরি হচ্ছে। আর পাকিস্তানের অংশে করিডর হচ্ছে গুরুদুয়ার দরবার সাহিব কর্তারপুর থেকে। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হয়ে যাওয়ার পর থেকে ভারতীয়দের ওই উপাসনাস্থলে যাওয়ার উপায় সীমিত হয়ে যায়। ভিসা পেতেও তাঁদেরকে অনেক কষ্ট করতে হত। এখন নতুন রাস্তা নির্মাণ হয়ে গেলে সারা বছরই পুণ্যার্থীরা খুব সহজে কর্তারপুর যেতে পারবেন।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ