Advertisement
Advertisement
Pakistan

দুর্নীতি মামলায় পাক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে চায় তদন্তকারী সংস্থা, বিপাকে শাহবাজ সরকার

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজকেও হেফাজতে চাইছে তদন্তকারী সংস্থা।

Pakistan FIA seeks to arrest Pakistan PM Shehbaz Sharif | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:June 5, 2022 1:19 pm
  • Updated:June 5, 2022 1:19 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক দুর্নীতির মামলায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে গ্রেপ্তার করতে চায় তদন্তকারী সংস্থা এফআইএ। শরিফের গ্রেপ্তারি চেয়ে ইতিমধ্যে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, পাক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সুলেমান শাহবাজ ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজকেও হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে চাইছে পাকিস্তানের ‘ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’ (এফআইএ)।

[আরও পড়ুন: ১০০ দিন পেরিয়েও অব্যাহত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, রুশ গোলায় কাঁপল কিয়েভ]

এপ্রিল মাসে ইমরান খানকে সরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেন শাহবাজ শরিফ। কিন্তু সরকার চালাতে গিয়ে ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তিনি। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত চালায় পাকিস্তানের ‘ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’। তদন্তকারীদের রিপোর্টে বলা হয়, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে শরিফ পরিবারের ২৮টি বেনামি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া যায়। সেগুলির মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। বলে রাখা ভাল, ২০২০ সালে শরিফের ছেলে শাহবাজ ও সুলেমানের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি দমন ও আর্থিক নয়ছয় বিরোধী আইনে মামলা করে এফআইএ।

Advertisement

শনিবার অর্থাৎ গতকাল পাকিস্তানের এফআইএ-র বিশেষ আদালতে হাজির হন শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজ। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ভরা একটি রিপোর্ট আদালতে জমা দেন এফআইয়ের আইনজীবী। তিনি আদালতে আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে যে বিশাল অঙ্কের আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে, সেই তদন্তের জন্য তাঁদের গ্রেপ্তারি প্রয়োজন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী আমজাদ পারভেজ এই দাবির বিরোধিতা করে সওয়াল করেন। তাঁর দাবি, লাহোরের জেলে থাকার সময় বাবা ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল তদন্তকারী সংস্থা। শুধু জেলে থাকার সময়ই নয়, পরে এফআইএ-এর তলবে তাদের অফিসেও যান শহবাজ ও তাঁর ছেলে। সওয়াল জবাব শেষে আগামী ১১ জুন পর্যন্ত মামলা মুলতুবি রেখেছে আদালত। আপাতত অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত রয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

উল্লেখ্য, দুর্নীতি আর পাকিস্তান (Pakistan) যেন কার্যত সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্নীতি দমন ও সুশাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় বসেছিলেন ইমরান খান। একই আশ্বাস দিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন শাহবাজ শরিফ। কিন্তু ক্ষমতা দখলের পরই তছরুপের মামলা বিপাকে পড়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: খুন হয়ে যেতে পারেন ইমরান! কড়া সতর্কতায় ইসলামাবাদে জারি ১৪৪ ধারা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ