Advertisement
Advertisement

Breaking News

কাশ্মীর

রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ইস্যুতে শক্তিমান চিনকেও হারাল ভারত, মুখ পুড়ল পাকিস্তানের

মার্কিন সমর্থন আদায়ে অসমর্থ হয়েই তড়িঘড়ি ট্রাম্পকে ফোন ইমরানের৷

Pakistan gets backing only from China at UNSC meeting on Kashmir
Published by: Tanujit Das
  • Posted:August 16, 2019 9:14 pm
  • Updated:August 16, 2019 9:58 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাজে এল না কাঁদুনি৷ আন্তর্জাতিক বিশ্বে আবারও মুখ পুড়ল পাকিস্তানের৷ তাদের সর্বসময়ের বন্ধু চিনের অনুরোধে কাশ্মীর ইস্যুতে শুক্রবার যে ‘ঘরোয়া বৈঠক’ ডেকেছিল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, সেখানে বড় জয় পেল ভারত৷ এই ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন আদায় করে নিল নয়াদিল্লি৷ বেজিং ছাড়া ইসলামাবাদের পাশে দাঁড়াল না কেউই৷ এমনকী, ইন্দোনেশিয়া ও কুয়েতের সমর্থন জোগাড়েও অসমর্থ হল ইমরান প্রশাসন৷

[ আরও পড়ুন: বৌদ্ধদের অনুষ্ঠানে দীর্ঘ পদযাত্রার পর মৃত্যু বৃদ্ধ হাতির, শ্রীলঙ্কার ঘটনায় শোরগোল ]

Advertisement

জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার ভারতীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হয়েছিল পাকিস্তান ঘনিষ্ঠ চিন। এই ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে  আনুষ্ঠানিক বৈঠক বসানোর আবেদন করেছিল বেজিং৷ কিন্ত তা আগেই খারিজ করে দেয় নিরাপত্তা পরিষদের বাকি সদস্যরা৷ তাও চিনের কাঁদুনি থামে না৷ ফলে শুক্রবার ভারতীয় সময় সন্ধে ৭টা ৩০ মিনিটে একটি ঘরোয়া বৈঠকে বসে সদস্যরা৷ যেখানে উপস্থিত ছিল নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড৷ ছিল ১০ অস্থায়ী সদস্য – বেলজিয়াম, ডমিনিকান রিপাবলিক, আইভরি কোস্ট, ইকুয়েটোরিয়াল গুয়েনা, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, পেরু, পোল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা৷ সূত্রের খবর, বৈঠকের শুরুতেই কাশ্মীরকে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলে দাবি করেন রাশিয়ার প্রতিনিধিরা৷ তাঁরা সাফ জানান, ‘‘কাশ্মীর কোনও আন্তর্জাতিক বিষয় নয়৷ এটা ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ইস্যু৷ ফলে আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের সমস্যার সমাধান করতে হবে৷’’

Advertisement

[ আরও পড়ুন: গ্রিনল্যান্ড কিনবেন ট্রাম্প! মার্কিন পত্রিকার রিপোর্টে শোরগোল আন্তর্জাতিক মহলে ]

এমনকী, এই বৈঠকের আগেই চিনের বিরোধিতা করে ফ্রান্স। শুধু ফ্রান্সই নয়, চিন ছাড়া নিরাপত্তা পরিষদের অন্য চার স্থায়ী সদস্য প্রকাশ্যে নয়াদিল্লির অবস্থান সমর্থন করে। এটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলে তারা মত প্রকাশ করে। একই পথে হেঁটে আমেরিকাও জানায়, কাশ্মীরের উন্নয়ন নিয়ে ভারতের এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরিই তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আর নয়াদিল্লির পাশে ওয়াশিংটনের দাঁড়ানোর খবর পেতেই, তড়িঘড়ি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ ফলে এই কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে এক ঢিলে দুই পাখি মারল ভারত, এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ কারণ একদিকে, যেমন পাকিস্তানের মুখ পুড়ল৷ তেমনই, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য না হয়েও, চিনের মতো শক্তির সামনেও নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারল নয়াদিল্লি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ