সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জয়নাব ধর্ষণ কাণ্ডে সরব হয়ে ছোট্ট মেয়েকে কোলে নিয়ে অভিনব প্রতিবাদ জানালেন উপস্থাপিকা।ঘটনাটি পাকিস্তানের বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম সামা টিভির।ওই সংবাদ উপস্থাপিকার নাম কিরণ নাজ।তিনি মেয়েকে কোলে নিয়েই স্টুডিওতে আসেন।
বুলেটিন শুরুর সময় দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজ এখানে আপনাদের সংবাদ উপস্থাপিকা হিসেবে আমি উপস্থিত হইনি। এসেছি মা হিসেবে। সেই কারণেই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বসেছি। যেমনভাবে ছোট্ট মেয়ে তাঁর কোলে নিশ্চিন্তে বসে আছে। এটা সত্যি যে বছর সাতেকের জয়নাবের ছোট্ট কফিনটিও অত্যন্ত ভারী ছিল। তাই জয়নাবের কফিনে কাঁধ দিতে গোটা পাকিস্তানকেই পথে নামতে হয়েছে।
[প্রবল বিরোধিতায় বিশ্ব ধর্মীয় সম্মেলনে যাচ্ছেন না জামাত প্রধান সাদ কানদালভি]
কাসুর এলাকার শিশুকন্যা জয়নাব আনসারির ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল পাকিস্তান। প্রতিবাদে সরব সমাজকর্মী, সেলিব্রিটি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ।সেই প্রতিবাদেরই একটি মুখ হিসেবে ধরা দিলেন কিরণ নাজ। গত ৪ জানুয়ারি কুরআন পড়তে গিয়েই অপহৃত হয় জয়নাব। ৯ তারিখে জঞ্চালের ভ্যাট থেকে তার ক্ষতবিক্ষত দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ক্ষোভ উগড়ে দেয় জনতা। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকেই প্রতিবাদ আছড়ে পড়ে। বিক্ষোভের ঢেউয়ে স্তব্ধ হয়ে যায় পাকিস্তান। প্রতিবাদী উপস্থাপনায় নাজ বলেন, বাবা মা সৌদি আরবে উমরাহ করতে গিয়েছেন। তাই মাসির বাড়িতেই ছিল ছোট্ট জয়নাব। বাবা মা পবিত্র মক্কায় যখন মেয়ের দীর্ঘজীবনের প্রার্থনা করছেন। ততক্ষণে নৃশংস মৃত্যু হয়েছে জয়নাবের। পাকিস্তানের একটি দৈত্য তাঁদের ছোট্টো মেয়েকে মেরে ফেলেছে।এটা একটা শিশুর মৃত্যু নয়। এটা গোটা সমাজের মৃত্যু।
এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে লাগামছাড়া বিক্ষোভে সরব হয় সে দেশের সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভের রেশ সংঘর্ষে পরিণত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পথে নামে পুলিশ। বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলিও চালায়। এই ঘটনায় দুজন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।আহত হয়েছে অনেকে।
[রুশ সেনাঘাঁটিতে রহস্যজনক ড্রোন বিস্ফোরণ, হামলাকারীর খোঁজ পাচ্ছে না সেনা]