সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেন কোনও রুদ্ধশ্বাস ক্রিকেট ম্যাচের স্লগ ওভার। রবিবার এমনই নাটকীয় টানটান উত্তেজনায় ভরে উঠল পাকিস্তানের (Pakistan) রাজনৈতিক মহল। পাকিস্তানের নির্বাচিত সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক তখনই শেষ মুহূর্তে ম্যাচ বাঁচিয়ে নিলেন ১৯৯২ সালের বিশ্বজয়ী পাকিস্তান দলের ক্যাপ্টেন। পাকিস্তানের সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবই খারিজ করে দিলেন ডেপুটি স্পিকার।
এখানেই শেষ নয়। পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইতিমধ্যেই ইমরান খানের (Imran Khan) পরামর্শে সংসদের ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এই পরিস্থিতিতে পাক সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধান অবমাননার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বিরোধীরা। এক পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত নোটিস জারি করেছে সেদেশের শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: ডামাডোল বঙ্গ বিজেপিতে, পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যে আসছেন শাহ-নাড্ডা]
Pakistan President Arif Alvi dissolves National Assembly on the advice of Prime Minister Imran Khan: Pakistan Media
— ANI (@ANI) April 3, 2022
এদিন অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল হতেই পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানিয়ে দেন, ”সরকার সংবিধানের অবমাননা করেছে। অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটই দিতে দেয়নি। জোটবদ্ধ বিরোধীরা সংবিধান ছাড়তে রাজি নয়। আমাদের আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের পথে। আমরা সমস্ত প্রতিষ্ঠানের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি পাক সংবিধানকে সুরক্ষার জন্য এগিয়ে আসতে।”
রবিবার ইমরানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। এই অনাস্থা প্রস্তাবকে সংবিধান বহির্ভূত বলেই জানান তিনি। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, তিনি রাষ্ট্রপতি আলভিকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে গেল পাকিস্তানের সংসদ। পরিস্থিতি যা, দ্রুত নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে পাকিস্তান। স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধীরা এই নাটকীয় পট পরিবর্তনকে মানতে পারছেন না।
[আরও পড়ুন: ভারতের আকাশেই ফাটল চিনা রকেট, চাঞ্চল্য মহারাষ্ট্রে]
অথচ দিনের শুরুটা ছিল একেবারেই অন্যরকম। ইমরানকে গদিছাড়া করার আত্মবিশ্বাস নিয়েই সংসদে প্রবেশ করেছিলেন বিরোধী সাংসদরা। কিন্তু ডেপুটি স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পরে তাঁরা সংসদেই প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেন। তাঁরা অভিযোগ তুলতে থাকেন, ইমরান দেশকে এক সাংবিধানিক সংকটে ফেলে দিয়েছেন।
এদিকে পাক সেনা নিজেদের পুরো বিষয়টা থেকে সরিয়ে রেখেছে। এক পাক সংবাদমাধ্যমকে সেনার তরফে জানানো হয়েছে, আজ যা হয়েছে তা একান্তই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। পাক সেনার সঙ্গে এই বিষয়টির কোনও সম্পর্ক নেই।