সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদে মদত ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থায় পাকিস্তান কার্যত ব্যর্থ রাষ্ট্র। জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের অভাব দেখা দিয়েছে দেশজুড়ে। এহেন সংকট কালে এবার জানা গিয়েছে, তেলের অভাবে প্রায় থমকে গিয়েছে পাকিস্তানের ট্রেন পরিষেবা।
‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’-কে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, একাধিক কারণে পাকিস্তানে (Pakistan) রেল পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ ভয়াবহ বন্যা। গত কয়েক সপ্তাহে দেশজুড়ে আসা প্রবল বন্যায় জোর ধাক্কা খেয়েছে ‘পাকিস্তান রেল’। যাত্রীর অভাবে আয় ধাক্কা খেয়েছে। প্রতিমাসে আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তা কিছুতেই পূরণ হচ্ছে না। বেশকিছু স্টেশনে ডিজেলের অভাব চরমে। বন্যার জন্য পরিকাঠামোয় যে ক্ষতি হয়েছে, তার প্রভাবও পড়েছে। ফলে গোটা ট্রেন নেটওয়ার্ক যে স্বাভাবিক ছন্দে চলে তা বিঘ্নিত হয়েছে।
সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত লাহোরের ইঞ্জিন শেডে মাত্র ৯০ হাজার লিটার ডিজেল ছিল। ফয়সলাবাদ স্টেশনে মাত্র একদিনের চলার মতো ডিজেল রয়েছে। মুলতান ও শুক্কুর ডিভিশনে পরিস্থিতি আরও খারাপ। ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ জানিয়েছে, বর্তমানে লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডির মধ্যে মাত্র একটি ট্রেন চলছে পেশোয়ার ও সিন্ধ প্রদেশের রহরি স্টেশনের মধ্যেও চলছে একটি মাত্র ট্রেন।
এদিকে, ডিজেলের অভাব নেই বলে দাবি করেছেন পাকিস্তান রেলের অ্যাডিশনাল জেনারেল ম্যানেজার আমির বালোচ। তাঁর কথায়, একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ডিজেল কেনা হচ্ছে। প্রয়োজন মেটাতে ভবিষ্যতেও বেসরকারি সংস্থা থেকে ডিজেল কেনা হতে পারে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের হাতে ডিজেল থাকলে বেসরকারি সংস্থার দ্বারস্থ হচ্ছে কেন রেল?
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানের অর্থনীতি ক্রমেই নিম্নমুখী। এরমধ্যে চরম রাজনৈতিক ডামাডোলে ক্ষমতা হারায় ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ। কিন্তু তাতেও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। বরং রেকর্ড গড়ে ডলারের তুলনায় দেশটির মুদ্রার দামে পতন হয়েছে। শুক্রবার প্রতি ডলার কিনতে ব্যয় হয়েছে ২০০ পাকিস্তানি রুপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.