Advertisement
Advertisement

হাফিজ ইস্যুতে চুপ, পেশোয়ার হামলার ১৩ জঙ্গিকে ফাঁসির সাজা পাকিস্তানের

স্পষ্ট পাক দ্বিচারিতা!

Pakistan sentences 13 militants to death
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 11, 2018 7:01 pm
  • Updated:September 11, 2018 7:01 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৪-র পেশোয়ার সেনা স্কুলে হামলাকারী ১৩ জন তালিবান জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিল পাক সেনা আদালত৷ সোমবার এই তথ্য প্রকাশ করলেন খোদ পাক সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল উমর জাভেদ বাজওয়া৷ পাকিস্তানের ইতিহাসে অন্যতম বড় এই জঙ্গি হামলায় সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিল এই ১৩ জন জঙ্গি৷ এদের মৃত্যুদণ্ডে শাস্তি শীঘ্রই কার্যকর হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন জেনালের বাজওয়া৷ তবে, ঢাকঢোল পিটিয়ে পাক সেনা প্রধানের এই সংবাদটি প্রকাশ্যে আনার পিছনে কূটনৈতিক কারণও খুঁজে পাচ্ছেন আন্তর্জাতিক মহল৷ পাশাপাশি এর ফলে আরও স্পষ্ট হয়েছে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পাক দ্বিচারিতার বিষয়টিও৷

[সিরিয়ায় ফসফরাস বোমা ফেলেছে আমেরিকা, অভিযোগে সরব রাশিয়া]

Advertisement

২০১৪-র ১৬ ডিসেম্বর৷ পেশোয়ারের সেনা স্কুলে সশস্ত্র অবস্থায় প্রবেশ করে ছয় তেহরিক-ই-তালিবান জঙ্গি। এলোপাথাড়ি গুলিতে কার্যত তছনছ করে দেয় স্কুলকে৷ সামনে যাকেই পায় তাকেই গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়৷ সেনা স্কুলের ভিতরে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় তালিবান জঙ্গিরা৷ এই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হানায় মৃত্যু হয় ২০২ জন নিরীহ মানুষের৷ যাঁদের মধ্যে ১৫১ জন স্কুল পড়ুয়া, শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী এবং ৫১ জন পাক সেনার কর্মী ও আধিকারিক ছিলেন৷ ঘটনায় নড়েচড়ে বসে পাক প্রশাসন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মহল৷ পাকিস্তানের ইতিহাসে অন্যতম বড় জঙ্গি হামলা বলে একে উল্লেখ করা হয়৷ ঘটনার বিভীষিকা এখনও শিহরিত করে তোলে পাক নাগরিকদের৷ তদন্তে নেমে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ১৩ জন তালিবান জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে পাক সেনা৷ ধৃতদেরই চরম শাস্তি দিল পাক সেনা আদালত৷ ফাঁসির সাজা শোনানো হয় তাদের৷ তবে জঙ্গিদের কোথায় শাস্তি দেওয়া হবে বা কবে হবে সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য দেননি পাক সেনা প্রধান৷

Advertisement

[দেশে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, ট্রাম্পকে তোপ ওবামার]

পাক সেনা আদালতের এই রায় পাকিস্তানের জন্য ইতিবাচক দিক খুলে দিতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, জঙ্গিবাদের সঙ্গে আপস করার অভিযোগ রয়েছে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে৷ ভারত, আমেরিকা থেকে শুরু করে অন্যান্য রাষ্ট্রও তাঁদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে সরব৷ একাধিকবার আন্তর্জাতিক মহলেও এই ইস্যুতে অপদস্থ হতে হয়েছে পাকিস্তানকে৷ যদিও স্বভাব বদলায়নি তাদের৷ কিন্তু এবার ১৩ তালিবান জঙ্গিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সেই অভিযোগ ভ্রান্ত বলে দাবি করতেই পারে ইসলামাবাদ৷ এমনই আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা৷ পাশাপাশি, পাক সেনা আদালতের রায়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদের দু’মুখো নীতি প্রকাশ্যে এসেছে বলেও মনে করছে নয়াদিল্লির থিঙ্কট্যাঙ্ক। তাঁদের অভিযোগ হাফিজ সইদ, দাউদ ইব্রাহিমদের আশ্রয় দিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের জন্য দেশকে স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে পাকিস্তান৷ সীমান্তের ওপার থেকে ভারতের বিরুদ্ধে তারা মদত দিচ্ছে জঙ্গিদের৷ কাশ্মীর-সহ সমগ্র ভারতে সন্ত্রাসবাদের বীজ ছড়াতে চাইছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই৷ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হাতে ভারত প্রমাণ তুলে দিলেও দায় ঝাড়তেই ব্যস্ত তারা৷ অর্থাৎ, পেশোয়ার হামলার দোষীদের ফাঁসির আদেশ শোনালেও, মুম্বই হামলা বা উরি হামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণে আগ্রহী নয় ইসলামাবাদ৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ