সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লজ্জার মুখে পাকিস্তান (Pakistan)। দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) পাক দূতাবাসের দুই আমলার বিরুদ্ধে উঠল চুরির অভিযোগ। কেবল অভিযোগ ওঠাই নয়, সোলে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে তাঁদের রীতিমতো চুরি করার মুহূর্তও পরিষ্কার দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে শহরের পুলিশ।
ঠিক কী চুরি গিয়েছে? জানা যাচ্ছে, এক আমলা চুরি করেছেন ১৯০০ ওন বা ১.৭ মার্কিন ডলার মূল্যের চকলেট ট্রিট। অন্য অভিযুক্ত আমলা চুরি করেছেন একটি টুপি। তবে সোলের ইয়ংসান প্রদেশের ওই ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কিন্তু একদিনে দু’টি চুরি হয়নি। চকলেটটি চুরি হয় ১০ জানুয়ারি। টুপি চুরির ঘটনা ঘটে ২৩ ফেব্রুয়ারি। ওই স্টোরের তরফে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। অবশেষে ধরা পড়ে ঘটনার পিছনে কাদের ‘কীর্তি’। দেখা যায় ৩৫ বছরের পাকিস্তানি আমলা ডিসপ্লেতে থাকা একটি টুপি বেমালুম সরিয়ে চম্পট দিচ্ছেন।
যদিও এরপরই দায়ের করা মামলা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। কোনও অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি। কেননা অভিযুক্তরা সাধারণ কেউ নন, তাঁরা কূটনীতিক। এসব ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক জটিলতা থাকে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে কূটনীতিকদের ছাড় দেওয়াই দস্তুর। এমনকী, তাঁদের পরিবারের কেউ যুক্ত থাকলেও তাঁদের ধরা হয় না। সেই প্রথা মেনেই পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। কাউকেই আটক করেনি। বন্ধ করে দিয়েছে মামলাটাই। এবং চুরির সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। এর পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক চুক্তির নানা দিক। চুরি যাওয়া সামগ্রীর দাম মিটিয়ে দিয়েছেন দূতাবাসেরই এক কর্মী।
এদিকে এমন পরিস্থিতিতে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে পাকিস্তান। দক্ষিণ কোরিয়ার পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত মুমতাজ জহরা বালোচের স্পষ্ট দাবি, যাঁদের চুরি করতে দেখা গিয়েছে, তাঁরা মোটেই সরকারি আমলা অর্থাৎ কূটনীতিক নন। তাঁর ওই দূতাবাসের দু’জন কর্মী মাত্র। এবং তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হলে তাঁদের প্রাপ্য সাজা যেন অবশ্যই দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.