Advertisement
Advertisement

এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে ফাঁস পাকিস্তানের দ্বিচারিতা, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

যুদ্ধবিমানের ধ্বংসস্থল কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলেছে ইমরান প্রশাসন৷

 Pakistani officials protecting downed F-16 jet in PoK
Published by: Tanujit Das
  • Posted:March 11, 2019 9:27 pm
  • Updated:March 11, 2019 9:27 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক ভূমিতে ঢুকে ভারতীয় বায়ুসেনার জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির গুঁড়িয়ে দিয়ে আসার পরের দিনই সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের মিলিটারি ইনস্টলেশনকে টার্গেট করে পাকিস্তান৷ ভারতীয় বায়ুসেনার প্রত্যাঘাতে যা ভেঙে পড়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভিমবের গলি এলাকায়৷ নয়াদিল্লির অভিযোগ, আমেরিকার সঙ্গে হওয়া চুক্তি ভেঙে ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে ব্যবহার করেছে রাওয়ালপিণ্ডি৷ যা স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে অস্বীকার করে ইমরান প্রশাসন ও পাক সেনা৷ কিন্তু এবার প্রকাশ্যে এসেছে এমন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য, যা আন্তর্জাতিক মহলের সামনে আরও একবার পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের৷

[বালাকোটে জঙ্গি সংখ্যা কত ছিল? নতুন রিপোর্টে ফের তুঙ্গে জল্পনা ]

Advertisement

জাতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-র তদন্তে উঠে এসেছে সেই চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ যেখানে বলা হয়েছে, অন টেপ পাক প্রশাসন ও ভিমবের গলি এলাকার বাসিন্দারা স্বীকার করেছেন, কেবল জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির’ই নয়, ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাঁদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানও৷ এমনকী, কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ভিমবের এলাকার ওই অংশ, যেখানে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছে বলে দাবি তুলেছে ভারত৷ জানা গিয়েছে, সত্যতা যাচাই করতে ভিমবের এলাকার থানার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে ইন্ডিয়া টুডে-র একটি তদন্তকারী দল৷ ফোনের ওপারে থাকা পুলিশ কর্মীকে যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘দুঃখিত স্যার, এই বিষয়ে কোনও রকমের তথ্য দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভবপর নয়৷ নিষেধ রয়েছে’৷ ‘কে আপনাদের এই নির্দেশ দিয়েছে’ প্রশ্ন করলে, ফোনের ওপারের ব্যক্তি জানান, ‘স্যার, সেনার কর্তাদের সঙ্গে আমাদের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে’৷

Advertisement

[আমেরিকার নাকের ডগাতেই ছিল মোল্লা ওমর! প্রকাশ্যে সিআইএ-র ব্যর্থতা]

সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভিমবের থানার পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেই ভারতের বিরুদ্ধে পাকসেনার এফ-১৬ ব্যবহারের বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে৷ সংস্থার যুক্তি, যদি ওখানে কিছু না’ই ঘটত, তাহলে পুলিশ অফিসাররা বিমান ধ্বংসের কথা অস্বীকার করতেন৷ কিন্তু তা না করে, পাক পুলিশ অফিসার উপরতলা থেকে তাঁদের মুখ খুলতে নিষেধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন৷ পাক পুলিশ অফিসারদের উক্তিই ইমরান প্রশাসনের দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এনেছে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ