সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : শান্তির বার্তা দিয়ে ভারতীয় পাইলটকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণার পর পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার দাবি উঠল। এর জন্য অনলাইন পিটিশনে সই সংগ্রহও করা হচ্ছে। যা নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। বিষয়টি থেকে হাসির খোরাকও পাচ্ছেন কেউ কেউ।
গোটা পাকিস্তানজুড়ে টুইটার ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে নোবেল প্রাইজ ফর ইমরান খান হ্যাশট্যাগ। একটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, একটি সংস্থার হয়ে রামিজ আসিফ নামে এক ব্যক্তি প্রথম এই ক্যাম্পেনিং শুরু করে। তারপর এখনও পর্যন্ত ২৮,০০০ সই সংগ্রহ হয়েছে।
[ভারতের ডসিয়ের খুলবে সন্ত্রাসের মুখোশ, এবার কী করবে পাকিস্তান?]
তাঁকে সমর্থন জানিয়ে অনেকে টুইট করেন, এতদিন বাদে পাকিস্তান একজন সত্যিকারের নেতাকে পেয়েছেন। তবে, অনেকেই আবার বিষয়টির কড়া সমালোচনা করেন। পাকিস্তানের এক নাগরিকের কথায়, আমি অনেক ভাগ্যবান যে আমি একজন পাকিস্তানি এবং ইমরান খান আমার প্রধানমন্ত্রী। অন্য দিকে কেউ বলছেন, বিশ্ব রাজনীতি বা জেনেভা চুক্তি সম্পর্কে অজ্ঞ পাকিস্তানিরাই এই ধরনের দাবি জানাতে পারে। কারণ, একজন যুদ্ধবন্দিকে যে আটকে রাখা যায় না তা তাদের জানা ছিল না। নিজেকে ও পাকিস্তানকে ভারতের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতেই অভিনন্দন বর্তমানকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন ইমরান খান। এছাড়া অন্য কোন বিষয় নেই। কিন্তু, বোকা পাকিস্তানিদের সেটা বোঝার বুদ্ধি নেই। বিষয়টি নিয়ে ব্যঙ্গ করতেও শুরু করেন অনেকে।
[ধরা পড়েও মাথা ঠান্ডা রাখেন অভিনন্দন, দেশের সুরক্ষায় করেছিলেন এই কাজটি]
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে সিআরপিএফ কনভয়ের উপর আত্মঘাতী হামলা চালায় জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিরা। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে অবস্থিত জইশ ট্রেনিং ক্যাম্পে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারতীয় বায়ুসেনা। ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমানের সাহায্যে ২১ মিনিট ধরে চলে অভিযান।
ঠিক পরেরদিনই ভারতের আকাশসীমা পেরিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান এফ-১৬। তাদের তাড়া করতে গিয়ে মিগ-২১ বিমান নিয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পড়েন ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। এরপরই জেনেভা চুক্তি অনুযায়ী তাঁকে নিঃশর্তে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। প্রথমে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর অভিনন্দনকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করার পরেও ভারতের কূটনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করে গতকাল অভিনন্দনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। তবে তার আগে জোর করে তাঁকে দিয়ে ভিডিও তৈরি করানো পাকিস্তানের পক্ষ থেকে। যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়ে। পাকিস্তান জেনেভা চুক্তি ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ উঠছে।