Advertisement
Advertisement

মহাকাশে চিনা আগ্রাসন রুখতে ‘মিশন শক্তি’ নিয়ে ভারতের পাশে পেন্টাগন

‘বিপদ বুঝেই পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত’, দাবি পেন্টাগনের৷

Pentagon defends India's ASAT test over threats in space
Published by: Tanujit Das
  • Posted:April 13, 2019 3:40 pm
  • Updated:April 13, 2019 3:40 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মিশন শক্তি’ নিয়ে আবারও ভারতের পাশে দাঁড়াল পেন্টাগন। জানাল, মহাকাশে বিপদ বুঝেই উপগ্রহ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, মহাকাশে একাধিপত্য স্থাপনে যে গতিতে উন্নতি করছে চিন, তাতে আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছে ওয়াশিংটন৷ এমতো পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লিকে তাদের সমর্থন তাই যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য৷

[ আরও পড়ুন: রাশিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  ]

Advertisement

জানা গিয়েছে, ভারতের ‘এ-স্যাট’ পরীক্ষা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশও করা হয় মার্কিন সেনেটে। কিন্তু সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দেয় সেনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির মার্কিন স্ট্র্যাটেজিক কম্যান্ডার জেনারেল জন ই হাইটেন৷ ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “এ-স্যাট পরীক্ষার পরই প্রথমেই যে সহজ প্রশ্নটি ওঠে তা হল, কেন ভারত এই পরীক্ষা করল? সকলের মনেই এই প্রশ্ন জাগছে। আমার মনে হয়, মহাকাশে বিপদ বুঝেই এই পরীক্ষা করেছে ভারত। প্রতিরক্ষার স্বার্থে মহাকাশেও ‘রক্ষাকবচ’ তৈরি করল ভারত।” আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘মহাকাশের বিপদ’ বলতে হাইটেন আসলে চিনা বিপদেরই আশঙ্কা করেছেন৷ কারণ, একথা আর অজানা নেই যে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মহাকাশে একাধিপত্য স্থাপনের একটা সুপ্ত ইচ্ছা রয়েছে চিনের৷ যা প্রতিরোধে বদ্ধপরিকর ওয়াশিংটন৷ এবং এক্ষেত্রে তাঁদের সাহায্য করতে পারে ভারত৷

Advertisement

ভারতের ‘মিশন শক্তি’ পরীক্ষার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন, আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পর মহাকাশে সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্রের তালিকায় নাম লেখাল ভারত৷ এবং যা যথেষ্ট বিব্রত করে চিনকে৷ বেজিংয়ের তরফে প্রতিক্রিয়াস্বরূপ বলা হয়, ‘‘আমরা আশা করব প্রতিটি দেশ শান্তি এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে কাজ করবে।’’ এই ইস্যুতে এবার ভারতের আমেরিকাকে পাশে পাওয়া জিনপিং প্রশাসনের চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷

[ আরও পড়ুন: দেশত্যাগের নিষ্ঠুরতার শিকার ক্রন্দনরত শিশু, এই ছবিই পেল সেরার খেতাব ]

উল্লেখ্য, ‘এ-স্যাট’ পরীক্ষার পর ভারতের সমালোচনা করে নাসা। পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ কিলোমিটার উপরে ভারত নিজেদের উপগ্রহ ধ্বংস করলেও, নাসার যুক্তি ছিল এরফলে উপগ্রহের চারশোরও ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর কক্ষপথে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের আশঙ্কা, ওই টুকরোগুলি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের ক্ষতির সম্ভাবনা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু তখনও নাসার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে ভারতের পাশেই দাঁড়ায় পেন্টাগন। পালটা যুক্তি দিয়ে জানায়, উপগ্রহের ধ্বংসাবশেষের টুকরোগুলো ৪৫ দিনের মধ্যে বায়ুমণ্ডলেই বিলীন হয়ে যাবে। ফলে খারাপ কিছুর আশঙ্কা করার কোনও প্রয়োজন নেই৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ