Advertisement
Advertisement
করোনা ভাইরাস

চিনের পর মারণ করোনা ভাইরাসের থাবা ফিলিপিন্সে, প্রাণহানি ১ ব্যক্তির

গোটা বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

Philippines reports first Coronavirus death outside China
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 2, 2020 4:21 pm
  • Updated:February 2, 2020 4:31 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে চিন। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত মোট ৩০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবার মারণ চিনা ভাইরাস থাবা বসাল ফিলিপিন্সে। ৪৪ বছর বয়সি এক ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ হিসাবে করোনা ভাইরাসকেই দায়ী করা হচ্ছে। চিকিৎসকদের দাবি, ওই ব্যক্তির শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাসের নমুনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করেছে।

চিনের ইউহান প্রদেশেই প্রথম করোনা ভাইরাসের নমুনা মেলে। জ্বর, সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হতে শুরু করেন একের পর এক নাগরিক। মহামারির রূপ নেয় মারণ চিনা ভাইরাস। রবিবার পর্যন্ত চিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৪ জন। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে হু হু করে। তবে ফিলিপিন্সে এই প্রথমবার এক মহিলার শরীরে মিলল করোনা ভাইরাস। ৪৪ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি চিনের ইউহানে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁর শরীরে বাসা বাঁধে মারণ ভাইরাস। তবে শারীরিক কোনও উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগেই তিনি ফিলিপিন্সে চলে যান। সেখানে পৌঁছনোর পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এক হাসপাতালে ভরতি ছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের। ফিলিপিন্সের হু’র প্রতিনিধি রবীন্দ্র আবেয়াসিংহে বলেন, “ফিলিপিন্সে এই প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হল একজনের। প্রাণহানির পর থেকে সতর্ক ফিলিপিন্স। আর কারও শরীরে করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনার প্রকোপ, চিনা নাগরিকদের অনলাইন ভিসা ইস্যু সাময়িক স্থগিত ভারতের]

হু’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ১৮টি দেশে ১০০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে করোনা ভাইরাস হানা দেওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি, সে তালিকায় ভারতও রয়েছে। হু’র সমীক্ষা বলছে, ঝুঁকির তালিকায় যে দেশগুলি রয়েছে, তার মধ্যে প্রথম নামটি হল থাইল্যান্ড। এরপরেই আছে জাপান এবং হংকং। আমেরিকা আছে ৬ নম্বরে, অস্ট্রেলিয়া ১০ নম্বরে, ইংল্যান্ড ১৭ নম্বরে এবং ভারত ২৩ নম্বরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেডরস আধানম ঘেবরেয়েসাস বলেন, “গত কয়কদিনে যে গতিতে এই ভাইরাস একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে তা সত্যিই অত্যন্ত উদ্বেগের।” তাই গোটা বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ