সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাভালনি জেলে। আলেকজান্ডার লিটভিনেঙ্কোকে বিষ খাইয়ে আগেই মেরে ফেলা হয়েছে। পুতিনের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা সকলেই আজ ‘অদৃশ্য়’। এইভাবে রুশ রাজনীতির কার্যতই বিরোধীশূন্য পরিস্থিতিতে ফের ভোটে লড়তে চলেছেন পুতিন। ঘোষিত হয়েছে রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ। ২০২৪ সালের ১৭ মার্চ নির্বাচন হবে মস্কোয়।
বৃহস্পতিবারই সেদেশের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভোটে জিতলে পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। বিরোধীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে আজীবনই রাশিয়ার মসনদে থাকতে চান পুতিন। কাজেই নির্বাচন নিয়মরক্ষারই হবে বলে দাবি তাঁদের।
প্রসঙ্গত, রুশ বিরোধী নেতা ও পুতিনের কড়া সমালোচক অ্যালেক্সেই নাভালনি দীর্ঘদিনের জন্য জেলে। জালিয়াতি ও দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বাড়তে বাড়তে সাজা দাঁড়িয়েছে ৩০ বছরের। পুতিনের আর এক প্রতিদ্বন্দ্বী আলেকজান্ডার লিটভিনেঙ্কোকে বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছিল ২০০৬ সালে। আগাগোড়া পুতিনের সমালোচক ছিলেন তিনিও।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালের মার্চে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে দেশের মসনদে বসেন পুতিন। শুরু হয় এক নতুন জমানার। তার পর থেকেই তিলে তিলে ব্র্যান্ড পুতিন গড়ে তোলেন রুশ রাষ্ট্রনেতা। নিয়মিত রুশ খবরের কাগজে শিরোনাম হয়েছে, ‘পুতিনের বদলা’, ‘পুতিনের গোপন লড়াই’ কিংবা ‘১০টি কারণ কেন পুতিন একজন অসাধারণ মানুষ’… এমনই সব শিরোনাম। সারাক্ষণ নিজেকে ভাসিয়ে রাখা। অদ্ভুত সব গুজব। পুতিন নাকি ১৯২০ সালেও ছিলেন। নিঃসন্দেহে এই সব গল্পকথা তাঁকে আরও বেশি করে কুয়াশামাখা মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছে। সেই সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে তাঁর ক্যারিশমা। সব মিলিয়ে অপ্রতিরোধ্য এক ইমেজ। আর সেই ইমেজ ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে। রুশ জনমানসে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। ক্ষুব্ধ দেশের সেনাবাহিনীও। তবুও প্রতিদ্বন্দ্বীশূন্য ও রাশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রভাবশালী হিসেবে পুতিনের একরকম নিশ্চিত বলেই ধরে নিয়েছে ওয়াকিবহাল মহল। অভিযোগ, চিনে এভাবেই ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখার চেষ্টা করেছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর পথেই হাঁটছেন পুতিনও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.