সুকুমার সরকার, ঢাকা: মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা জঙ্গি ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর তৎপরতা রুখে দেওয়ার শপথ নিয়ে শুক্রবার বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হল বাংলাদেশে। লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশবাসীর উপস্থিতিতে মুখরিত ছিল রমনা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলামোটর, পল্টন এলাকা।
পশ্চিমবঙ্গের ঠিক একদিন আগেই বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হল নববর্ষ। অনেকে আবার আজকের পাশাপাশি শনিবারও বাংলা নববর্ষ পালন করবেন। ঢাকায় প্রতিবছর রমনার প্রভাতী অনুষ্ঠান দিয়ে শুরু হয় পয়লা বৈশাখ উদযাপন। এবার তা পঞ্চাশ বছরে পা রেখেছে। এদিন ঊষালগ্নে রমনা বটমূল থেকে সরোদে ভেসে আসে ভোরের রাগ ভৈরবী। ‘আনন্দ, বাঙালির আত্মপরিচয়ের সন্ধান ও অসাম্প্রদায়িকতা’। এই বিষয়টি নিয়ে এবারের আয়োজনে অংশ নেয় ছায়ানটের ১১১ জন শিল্পী। ১৯৬৭ সালে যে গানটি দিয়ে নববর্ষের সূচনা হয়েছিল, সেই গান দিয়ে এবার অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হল। আবৃত্তিতে অংশ নেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্টজনদের নেতৃত্বে চারুকলা থেকে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। পয়লা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা-সহ নানা আয়োজনকে ‘হিন্দুয়ানি’ বলে। এবারের শোভাযাত্রাকে ‘আঁধারের অপশক্তির কাছে মাথা না নোয়ানোর শপথ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক জিহান করিম। তিনি বলেন, একটি কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হচ্ছে। আঁধারের অপশক্তির কোনও স্থান এখানে নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.