Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হারের জের, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা রনিল বিক্রমসিংহের

রাজপক্ষ পরিবারের সঙ্গে আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক বিক্রমসিংহের।

Ranil Wickremesinghe steps down as Sri Lanka's PM
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 21, 2019 10:30 am
  • Updated:November 21, 2019 10:30 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনা সত্যি করে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রনিল বিক্রমসিংহে। বুধবার, প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন রনিল।

এদিকে, বিক্রমসিংহের প্রদত্যাগের পরই প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য দাদা মহিন্দা রাজাপক্ষের নাম ঘোষণা করেছেন সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন রনিল বিক্রমসিংহের দল ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি’র প্রার্থী সজিথ প্রেমাদাসা হেরে যান। তারপরই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য বিক্রমসিংহের উপর চাপ বাড়তে থাকে। ‘চিনপন্থী’ রাজপক্ষ পরিবারের সঙ্গে আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক ‘ভারতপন্থী’ বিক্রমসিংহের। ২০১৫ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মহিন্দা রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসেন বিক্রমসিংহে। তবে তাঁর আমলে রাজপক্ষ পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেননি তিনি। পালটা তাঁর বিরুদ্ধেই একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। রক্তাক্ত ইস্টার ডে হামলার পর নিরাপত্তায় গাফিলতি নিয়েও জনরোষের মুখে পড়েন রনিল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে সজিথ প্রেমাদাসাকে হারাতে সক্ষম হন গোতাবায়া।

Advertisement

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পরাজয়ের পরই রনিল বিক্রমসিংহের দশজন মন্ত্রী পদত্যাগ করছিলেন। এবার রনিল পদ ছাড়ায় নয়া সরকার পেতে পারে শ্রীলঙ্কা বলেই মনে করা হচ্ছে। বর্তমানের সরকার বা সাংসদরা নির্বাচিত হয়েছিলেন ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট। ফলে পাঁচ বছরের মেয়াদ সস না হওয়া পর্যন্ত সংসদ ভঙ্গ করতে বেগ পেতে হবে গোতাবায়াকে। আপাতত, ২২৫ সদস্যের শ্রীলঙ্কার সংসদে সংখ্যালঘু রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজপক্ষের দল ‘শ্রীলঙ্কা পদুজনা পেরামুনা’। ফলে আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত সরকার চালাতে বিক্রমসিংহের উপর কিছুটা হলেও ভরসা রাখতে হবে তাঁকে।

Advertisement

উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে মাত্র ২৪ বছর বয়সে শ্রীলঙ্কার সংসদে প্রবেশ করেন মহিন্দা রাজাপাকসে। ২০০৫ সালে তিনি প্রথম মসনদে দখল করেন। দ্বীপরাষ্ট্রে প্রায় তিনদশক ধরে চলা এলটিটিই’র সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন মহিন্দা এবং গোতাবায়া। অন্যদিকে, ২০১৮ সালে তত্কালীন প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা আচমকা বিক্রমসিংহেকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রী করা হয় মহিন্দা রাজাপক্ষকে। গোটা দেশজুড়ে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়। যদিও, পরে সিরসেনার সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলে রায় দেয় শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ আদালত।

[আরও পড়ুন: মসনদে ‘চিনপন্থী’ গোতাবায়া, পরিস্থিতি সামাল দিতে জয়শংকরকে পাঠাল উদ্বিগ্ন ভারত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ