সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ৫ বছর। তার মধ্যেই অন্তত ১০ থেকে ২০ শতাংশ বরফ গায়েব। বিশ্বের দুই মেরুর হিমবাহের এমন দশা দেখে মাথায় হাত বিজ্ঞানীদের। বিশেষত সুইজারল্যান্ডের হিমবাহের গলন সবচেয়ে বেশি। আরও চমকে ওঠার মতো তথ্য – সুইজারল্যান্ডের অন্তর্গত আল্পসের পিজল নামের হিমবাহ, যা নাকি বিংশ শতাব্দী থেকে গলছে, সেটি এবার পুরোপুরিই হারিয়ে গিয়েছে। সুইস অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর তরফে মঙ্গলবারই একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এবছর সুইজারল্যান্ডের হিমবাহের গলনের হার রেকর্ড। আর তাই সুইজারল্যান্ডের গ্রীষ্ম এবছর এত উত্তপ্ত ছিল।
[আরও পডুন: মাদার টেরিজার পর সিস্টার মরিয়ম, ভ্যাটিকানে ‘সন্ত’ উপাধি আরেক ভারতীয় সন্ন্যাসিনীকে]
এপ্রিল থেকে জুন – এই সময়ের মধ্যে অন্তত ৬ মিটার গভীরতা পর্যন্ত গলেছে সুইজারল্যান্ডে হিমবাহগুলি। এই পরিমাণ ঠিক কতটা, তা বোঝাতে গিয়ে সহজ তুলনা টেনেছেন গবেষকরা। গোটা দেশে বছরে যতটা পানীয় জলের প্রয়োজন হয়, প্রায় সেই পরিমাণ বরফ গলে গিয়েছে ওই তিন মাসে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গলন হয়েছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মত, যদি শীতে দেশটি পুরু বরফে ঢেকে না যায় তাহলে হিমবাহগুলির চেহারা ফেরা সম্ভব নয়। বিশেষত ‘পিজল’ হিমবাহের পরিণতিতে রীতিমতো চিন্তিত পরিবেশপ্রেমীরা। বারবার উষ্ণায়নের কুপ্রভাব হিসেবে ওই উদাহরণই টেনে আনা হচ্ছে। জুন এবং জুলাই মাসকে হিমবাহ বিশেষজ্ঞরা চিহ্নিত করছেন ‘অন্ত্যেষ্টির মাস’ হিসেবে।

সুইস অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হচ্ছে, “গত এক বছরে সুইজারল্যান্ডের হিমবাহের মোট ২ শতাংশ গলে গিয়েছে। যা গত ৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড।” তাঁরা সতর্কবার্তাও দিয়েছেন, এখনই যদি রাশ হাতে নেওয়া না হয়, তাহলে এই শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই সুইজারল্যান্ডের আল্পস থেকে সমস্ত বরফ উধাও হয়ে যাবে। আল্পসের সৌন্দর্যে হারিয়ে ধু ধু রুক্ষ পর্বতশ্রেণিতে পরিণত হবে।