Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশের বিদেশ সচিব, উত্তর-পূর্বে সন্ত্রাসের মেঘ দেখছে দিল্লি?

বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত!

Regional stability emphasised during Bangladesh-India foreign secretary-level meeting | Sangbad Pratidin
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:November 25, 2023 11:24 am
  • Updated:November 25, 2023 11:24 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের বিদেশ সচিব বিনয়মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন। শুক্রবার ‘বন্ধু’ দুই দেশের প্রতিনিধিদের আলোচনায় জোর দেওয়া হয়েছে আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখার উপর। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে কড়া নজর রাখছে ভারত। পড়শি দেশে আওয়ামি লিগের বদলে বিরোধী দল বিএনপি ক্ষমতায় এলে উত্তর-পূর্বের রাজ্যেগুলোতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছে দিল্লি।

শুক্রবার দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিলেন দুই দেশের বিদেশ সচিবরা। দুজনেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করায় জোর দেন। একই সঙ্গে আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা যাতে বজায় থাকে সেই বিষয়ও দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়। এদিনের বৈঠকের পর মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভারতকে ধন্যবাদ। দক্ষিণ এশিয়া থেকে তিনি একমাত্র রাষ্ট্রপ্রধান যিনি ভারতের নেতৃত্বে হওয়া এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: আমেরিকাকে তোপ দেগে ভোটমুখী বাংলেদেশের পাশে রাশিয়া, দিল্লিতে হাসিনার ‘দূত’]

এদিনের বৈঠকে মোমেন অমীমাংসিত তিস্তাচুক্তি, বাণিজ্য, নির্বিঘ্নে প্রয়োজনীয় পণ্যের আদানপ্রদান-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানেও ভারতের সহযোগিতা চান তিনি। অন্যদিকে,  বৈঠকের পর মোমেনকে কোয়াত্রা বলেন, “বন্ধু হিসাবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুবই দৃঢ়। এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।” 

Advertisement

উল্লেখ্য, ভোটমুখী বাংলাদেশে (Bangladesh) চড়ছে পারদ। সক্রিয় হয়েছে জামাতের মতো ভারত বিরোধী শক্তিগুলো। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি-র অবরোধ-হরতালে হিংসা ছড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ৭ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে সেদেশে। আর গোটা ঘটনাবলির উপর কড়া নজর রাখছে ভারত। কারণ, আওয়ামি সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে বাংলাদেশে পাকিস্তানের প্রভাব বাড়বে। আইএসআইয়ের হাত ধরে জেহাদিদের চারণভূমি হয়ে উঠবে দেশটি। ফলে, অসম-সহ ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে সন্ত্রাসবাদীরা ফের সক্রিয় হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা। 

[আরও পড়ুন: ক্ষোভ থাকলেও ভরসা হাসিনাতেই, ভোটযুদ্ধে উন্নয়নই হাতিয়ার মুজিবকন্যার

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ