Advertisement
Advertisement
Israel

‘আর অপেক্ষা নয়, এখনই মুক্তি চাই ইজরায়েলিদের’, পণবন্দিদের পরিবারের বিক্ষোভে স্তব্ধ পার্লামেন্ট

পণবন্দিদের বিনিময়ে যুদ্ধ থামানোর হামাসের প্রস্তাব নাকচ নেতানিয়াহুর।

Release them now', hostage relatives storms Israeli parliament। Sangbad Pratidin

পার্লামেন্টে বিক্ষোভ পণবন্দিদের পরিবারের

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:January 24, 2024 3:14 pm
  • Updated:January 25, 2024 8:11 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪ মাস পেরিয়ে গিয়েছে হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধের। এখনও গাজায় জঙ্গিদের হাতে পণবন্দি রয়েছেন শতাধিক ইজরায়েলি। ভয়, উৎকণ্ঠা সব মিলিয়ে আতঙ্কের প্রহর গুনছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। এবার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে। ফের একবার বন্দিদের মুক্তির দাবিতে স্তব্ধ হল ইজরায়েলের পার্লামেন্টের অধিবেশন। এনিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর। 

রয়টার্স সূত্রে খবর, সোমবার জেরুজালেমে পার্লামেন্টারি কমিটির অধিবেশন চলছিল। সেখানেই প্রিয়জনেদের ছবি, পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা। প্রত্যেকেই দাবি করেন, বন্দিদের মুক্তি নিয়ে আইনপ্রণেতাদের দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। এক মহিলা তাঁর পরিবারের ৩ জনের ছবি নিয়ে এসেছিলেন। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, “গত ৭ অক্টোবর থেকে ওঁরা গাজায় বন্দি। আমি ৩ জনেরে মধ্যে অন্তত একজনকে জীবিত ফেরত চাই।” সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত বিক্ষোভকারীরা সকলে চিৎকার করে বলেন, “যদি ওঁরা ওখানে মারা যায় আপনারাও এখানে বসে থাকতে পারবেন না। আর অপেক্ষা নয়। ওদের এখনই মুক্তি দিতে হবে। এখন মানে এখনই।” জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyahu) একটি বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ দেখান পণবন্দিদের পরিবারের সদস্যরা। সেখানে দাঁড়িয়ে তাঁরা বলেন, “যতদিন না বন্দিদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে আমরা তাঁকে ছারব না।” 

Advertisement

[আরও পড়ুন: হিরের খনিতে যাওয়ার সময় ভেঙে পড়ল বিমান, কানাডায় মৃত ৬]

কয়েকদিন আগেই হামাসের তরফে গাজায় (Gaza) যুদ্ধ থামানো নিয়ে নেতানিয়াহুকে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, পণবন্দিদের বদলে যুদ্ধ থামাক ইজরায়েল। গাজায় রক্তক্ষয়ী সামরিক অভিযান বন্ধ করে ক্ষমতায় ছেড়ে দেওয়া হোক হামাসকে। কিন্তু সরাসরি হামাসের প্রস্তাব নাকোচ করে দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। সাফ জানিয়েছিলেন, “পণবন্দিদের মুক্তির বদলে হামাস যুদ্ধ থামানোর দাবি জানাচ্ছে। চাইছে আমরা গাজা থেকে সেনা সরিয়েনি। সমস্ত খুনি ও ধর্ষক ও হামাস জঙ্গিদের অক্ষত ছেড়ে দেওয়া হোক। কিন্তু আমি মুখের ওপর এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। হামাস দানবদের কাছে মাথানত করব না।”এই বক্তব্যের পরই তাঁর উপর চাপ বাড়াচ্ছে বন্দিদের পরিবার। একটি বিবৃতি দিয়ে সকলে জানিয়েছে, “যদি প্রধানমন্ত্রী ঠিক করেন বন্দিদের বলিদান দেবেন তাহলে তাঁকে নিজের সততা, নেতৃত্ব ও অবস্থান নিয়ে একটি পরিষ্কার চিত্র ইজরায়েলের মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।”

Advertisement

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের (Israel) বুকে বেনজির হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। ওই আক্রমণে মৃত্যু হয় ১২০০ জন ইজরায়েলির। জেহাদিদের হাতে পণবন্দি হন ২৪০ জন। গত নভেম্বর মাসে সাময়িক যুদ্ধ বিরতিতে মুক্ত হয়েছিলেন ১০৫ জন। কিন্তু এখনও বন্দি রয়েছেন শতাধিক। গত মাসেও পার্লামেন্টে বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখাকালীন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন পণবন্দিদের পরিজনরা। প্রিয়জনদের নাম লেখা পোস্টার, ছবি নিয়ে তাঁর কাছে দরবার করেন সকলে। নেতানিয়াহু সকলকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, সেনার অভিযান শেষ করতে আরও সময় দরকার।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ