Advertisement
Advertisement

Breaking News

Rhino Poacher

হাতির পায়ে পিষ্ট হওয়ার পর দেহ কামড়ে খেল সিংহ! চোরাশিকারীর চরম শাস্তি

ভয়াবহ ঘটনা দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কের।

Rhino Poacher Killed By An Elephant And Then
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:April 8, 2019 7:45 pm
  • Updated:May 21, 2020 6:48 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : গণ্ডার শিকার করতে জঙ্গলে ঢুকেছিল পাঁচ চোরাশিকারি। লক্ষ্য পূরণ হওয়া দূর, তাদের মধ্যে একজনকে পিষে মারল হাতি। আর তার মৃতদেহ দিয়ে ভুরিভোজ সারল একদল সিংহ। ঘটনাটি দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কের। এপ্রসঙ্গে ওই পার্কের আধিকারিক গ্লেন ফিলিপ্স বলেন, “লুকিয়ে বা পায়ে হেঁটে ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কে প্রবেশ করা যে বুদ্ধিমানের কাজ নয়, এই ঘটনার ফলে তা আরও একবার প্রমাণিত হল।”

[আরও পড়ুন-সত্যিকারের ‘হিরো’, খিদে ভুলে নিজের টাকায় বিড়ালকে খাওয়াল কিশোর]

পাশাপাশি ক্রুগার পার্কের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাকি চার চোরাশিকারিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলার পর শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি অভিযুক্তদের জেরা করে আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চলছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন-মুরগি ছানাকে বাঁচাতে ১০টাকা নিয়েই হাসপাতালে, খুদের কীর্তি মন কাড়ল নেটিজেনদের]

এপ্রসঙ্গে মৃতের ওই সঙ্গীরা জানিয়েছে, জঙ্গলের মধ্যে আচমকা একটি হাতিটি তাদের সঙ্গীকে পা দিয়ে পিষে মারে। ওই পার্কে ঘুরতে আসা পর্যটকরা যাতে মৃতদেহটি খুঁজে পান তাই তারা সেটিকে রাস্তার ধারে নিয়ে এসে রাখে। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে তারা মৃতের বাড়িতে খবর দেয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন-অবাক কাণ্ড! বাস-ট্রেন নয়, ২০ বছর ধরে সাঁতার কেটেই স্কুলে যান শিক্ষক]

মৃতের পরিবারের তরফে যোগাযোগ করা হলে, দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল পার্কের এয়ার উইংয়ের ক্রু-সহ একটি অনুসন্ধানকারী দল বুধবার সেখানে চিরুনি তল্লাশি চালিয়েও মৃতদেহটি খুঁজে পাননি। পরেরদিন অবশ্য কুমির নদীর পাশে ওই পার্কের কুমির সেতু এলাকায় ছিন্নবিচ্ছিন্ন অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।বোঝা যায়,  সিংহরা মৃতদেহটির মাথার খুলি এবং প্যান্ট বাদে সবকিছু খেয়ে ফেলেছিল।

[আরও পড়ুন-জনমানবহীন দিকশূন্যপুর, নিলামে উঠছে স্পেনের কয়েকশো ভূতুড়ে গ্রাম]

মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি তাদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন গ্লেন ফিলিপ্স। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মৃতের মেয়েদের কান্না দেখে খুবই খারাপ লাগছিল। আমরা তাদের বাবাকে ফিরিয়ে দিতে না পারলেও কিছু আর্থিক সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে হয়তো ওই পরিবারটির আর্থিক সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ