Advertisement
Advertisement

ব্রিটেনকে পালটা রাশিয়ার, ২৩ জন ব্রিটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করল মস্কো

বহিষ্কৃত কূটনীতিকদের মস্কো ছাড়তে হবে এক সপ্তাহের মধ্যে।

Russia retaliates, expels 23 British diplomats
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 17, 2018 5:07 pm
  • Updated:March 17, 2018 5:07 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটেনকে যোগ্য জবাব দিতে ২৩ জন ব্রিটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করল রাশিয়া। এখন কূটনৈতিক বৈরিতার তুঙ্গে রাশিয়া ও ব্রিটেন। কয়েকদিন আগেই বৃষ্টি গুপ্তচর সের্গেই স্কৃপাল ও তাঁর মেয়ে ইউলিয়ার উপরে হামলার ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই রাশিয়ান কূটনিতিকদের বহিষ্কার করেছিল ব্রিটেন। এই দ্বন্দ্বে পুতিনের সরকারও কম যায় না। পালটা হিসেবে ২৩ জন ব্রিটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে রাশিয়া। বহিষ্কৃত কূটনীতিকদের রাশিয়া ছেড়ে যাওয়ার জন্য এক সপ্তাহের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। মস্কোর তরফে জানানো হয়েছে, এরপরেও ব্রিটেন যদি বৈরিতার কোনও মনোভাব দেখায়, তাহলে পালটা পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তৈরি রাশিয়া।

[ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ১৪ বিঘা জমি বেদখল, অভিযোগ কর্তৃপক্ষের]

চলতি সপ্তাহেই ২৩ জন রাশিয়ান কূটনীতি-সহ বেশ কয়েকজন পদস্থ কর্তাকে বহিষ্কার করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। প্রাক্তন গুপ্তচর সের্গেই স্কৃপাল ও মেয়ে ইউলিয়াকে বিষ প্রয়োগের অভিযোগেই এহেন পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, রাশিয়ার তরফেই বিষ প্রয়োগের কাজটি করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ রাশিয়া। এদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাবা ও মেয়ে। চলতি মাসের চারতারিখেই ব্রিটেনের সালিসবিউরি এলাকায় অচৈন্য অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছিল।

Advertisement

উল্লেখ্য, একদা রাশিয়ান গুপ্তচর স্কৃপাল ব্রিটেনে থাকাকালীন ১২ জন রাশিয়ান এজেন্টের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। এরপরে মস্কোতে তিনি গ্রেপ্তার হন। ২০০৬ সালে তাঁর জেল হয়। শেষে ইংল্যান্ডের তরফেও গুপ্তচর বৃত্তির কাজে রাজি হওয়ায় তাঁকে ২০১০-এ মুক্তি দিয়ে ইংল্যান্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এখানে এসে ব্রিটিশ গুপ্তচরের খাতায় নাম লেখান সের্গেই। তখন থেকেই সের্গেইকে খুঁজে পেতে তৎপর রাশিয়া। তবে আচমকা এই বিষ প্রয়োগের ঘটনাতর দায় নিতে নারাজ পুতিনের সরকার। অন্যদিকে কেজিবি এজেন্ট আলেকজান্ডার লিতভিনেনকোর মৃত্যু নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। যিনি পুতিনের সমালোচক ছিলেন। ২০০৬ সালে লন্ডনে গ্রিন-টি পানের পর তাঁর মৃত্যু হয়। লিতভিনেনকোর মৃত্যুতেও রাশিয়ার দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। অভিয়োগ, লিতভিনেনকোর হত্যাকারী হিসেবে দুজনকে চিহ্নিত করেছিল ব্রিটেনের সরকার। যদিও সেই দাবি মানতে চায়নি রাশিয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি অর্থাৎ স্কৃপালের উপরে হওয়া হামলাও তেমনই দিক নির্দেশ করছে।

Advertisement

[কীভাবে পাকিস্তানে প্রতিদিন হেনস্তা হচ্ছেন ভারতীয় কূটনীতিবিদরা?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ