সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিস্ফোরকে ঠাসা একের পর এক আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল আছড়ে পড়ছে রুশ সেনাঘাঁটিতে। অথচ কে ওই ড্রোনগুলি পাঠাচ্ছে, তার পরিচয় জানা নেই সেনার। এমনটাই দাবি করেছে রুশ সেনা। সিরিয়াতে রুশ সেনার সদর ঘাঁটিতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর এখন মাথার চুল ছিঁড়ছেন সেনাকর্তারা। কে বা কারা কী উদ্দেশ্য নিয়ে হামলা চালাচ্ছে, সেটা বুঝে ওঠার আগেই আরেকটি ড্রোন এসে আছড়ে পড়ছে তাঁদের ঘাঁটিতে।
[মরুভূমির বালি ঢেকেছে বরফের পুরু চাদরে, আজব কাণ্ড সাহারায়]
সিরিয়ার লাটাকিয়া প্রদেশে রুশ সেনার মিলিটারি হেড কোয়ার্টার। সেখানেই আছড়ে পড়েছে অন্তত ১০টি বিস্ফোরকে বোঝাই ড্রোন। তিনটি ড্রোন হামলা করেছে টার্টাসে রুশ সেনার নৌঘাঁটিতেও। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যখন দাবি করছেন, সিরিয়ায় বন্ধু বাশার আল-আসাদের সরকার গত ছ’বছরের গৃহযুদ্ধে জয়লাভ করেছে, তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই চূড়ান্ত রহস্যজনক ড্রোন হামলায় আক্রান্ত রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছে, অন্তত সাতটি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয়েছে। তিনটি ক্র্যাশ করে বিস্ফোরণ ঘটে। কোনও রুশ সেনার মৃত্যুর খবর জানায়নি মন্ত্রক।
[বেজে গেল যুদ্ধের দামামা, আমেরিকার পর ইজরায়েলি মিসাইলের নিশানায় সিরিয়া]
এই হামলাকে সম্ভাব্য জঙ্গি হামলার তকমা দিচ্ছে রাশিয়া। তবে জঙ্গিদের এই নয়া পন্থা বেশ ভাবাচ্ছে পুতিনকেও। ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব থেকে জিপিএস ব্যবহার করে রিমোট কন্ট্রোল ড্রোনের সাহায্যে জঙ্গিদের এই হামলাকে খাটো করে দেখছেন না পুতিন। প্রতিটি ড্রোনেই আইইডি ঠাসা ছিল। ইদলিব প্রদেশ থেকে ড্রোনগুলি ছোড়া হয়েছিল বলে অনুমান। হামলার পিছনে তুরস্ক সেনার হাত ছিল বলে অনুমান রাশিয়ার। এই ঘটনার কয়েকদিন আগেই দুই রুশ সেনা মর্টার হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। রুশ সেনার উপর এরকম ধারাবাহিক হামলা পুতিনের দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। পুতিন সদ্য দাবি করেন, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে ইতি টানা গিয়েছে। বিদ্রোহীদের উপর রাশ টানতে সক্ষম হয়েছে বাশার সরকার। কিন্তু আদৌ সেই দাবি কতটা সত্যি, সেটা সময়ই বলে দেবে।