Advertisement
Advertisement

দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারে দেদার বিকোচ্ছে কিমের মুখোশ, কেন জানেন?

চিন্তা বাড়ছে সিওলের৷

 S Korean fashion selling ‘nuke masks’ of Kim Jong-un
Published by: Tanujit Das
  • Posted:December 14, 2018 4:26 pm
  • Updated:December 14, 2018 6:20 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারে ছেয়ে গিয়েছে কিম জং উনের মুখের আদলে তৈরি ‘ফেসিয়াল মাস্ক’৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যে মাথা চাড়া দিয়েছে বিতর্ক৷ এই ফেসিয়াল মাস্ক তৈরি করে বিতর্কের মুখে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসাধনী প্রস্তুতকারক সংস্থা ৫১৪৯৷ সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ২৫ হাজার এই মাস্ক বিক্রি করে ফেলেছে সংস্থাটি৷ তবে বিতর্ক দানা বাঁধতেই এই ফেসিয়াল মাস্কের বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন সেই দেশের প্রসাধনীদ্রব্য ব্যবসায়ীরা৷

[বিমানে মহিলাকে যৌন হেনস্তা, আমেরিকায় ন’বছরের জেল ভারতীয়র]

Advertisement

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, হঠাৎই দক্ষিণ কোরিয়ার বহু মানুষ মুখে এই মাস্ক পরে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে শুরু করেন৷ তখনই বিষয়টি নজরে আসে সিওলের৷ এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন৷ জারি করা হয় সতর্কতা৷ সিওলের আশঙ্কা, আর বেশিদিন এই ধরনের ফেসিয়াল মাস্ক সেদেশের বাজারের বিক্রি হলে, উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে প্রচার বাড়তে পারে সাধারণ মানুষের মধ্যে৷ সেই আশঙ্কা থেকেই এই পণ্যের বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা৷ এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দক্ষিণ কোরিয়ার এক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে এই ধরনের প্রচার করা হয়ে থাকতে পারে৷ যা দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য খারাপ৷ তিনি বলেন, “কয়েক বছর আগেও আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে বড় আতঙ্কের বিষয় ছিলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন৷ সমগ্র বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার পরিপন্থী ছিলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক৷ এবার তাঁরই ফেসিয়াল মাস্ক বিক্রি হলে তা আমাদের দেশের জন্য খারাপ অর্থবহণ করবে৷”

Advertisement

[স্থানান্তর নয়, ঘানা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের গান্ধীমূর্তিটি ভেঙে ফেলল প্রশাসন]

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবং ৬৫ বছরের বিবাদ মিটিয়ে চলতি বছরেই দু’বার শান্তি বৈঠকে বসেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন৷ সেই বৈঠকে নিষ্পত্তি ঘটে বহু অমীমাংসিত বিষয়ের৷ এমনকী, গত জুন মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও বৈঠক করেন কিম৷ ঐতিহাসিক সেই বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। যদিও পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে খুব একটা বেশি কাজ এগোয়নি বলে মাঝেমধ্যেই পিয়ংইংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা৷ ফলে কিমের দেশের সঙ্গে মোটামুটি দূরত্ব রক্ষা করেই চলার পক্ষপাতী দু’দেশ৷ এমত পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারের কিমের মাস্কের দেদার বিক্রি যথেষ্ট আশঙ্কার বিষয় বলে মত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ