Advertisement
Advertisement

Breaking News

Pakistan

কাশ্মীর ইস্যুতে মুসলিম দুনিয়ায় চাপে পাকিস্তান, ধারে তেল দেওয়া বন্ধ করল সৌদি

সৌদি আরব বছরে ৩.২ লক্ষ কোটি ডলার মূল্যের তেল দিত।

Saudi Arabia going to Holds Back Oil to Pakistan on debt
Published by: Paramita Paul
  • Posted:August 10, 2020 4:22 pm
  • Updated:August 10, 2020 4:22 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বোধহয় বলে নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রাভঙ্গ! অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ (OIC)-তে কাশ্মীর ইস্যু তুলতে গিয়ে ধাক্কা খেয়েছিল পাকিস্তান (Pakistan)। সেসময় সংগঠন ছেড়ে বেরিয়ে আসারও হুমকি দিয়েছিল ইমরান খানের (Imran Khan) দেশ। এবার সংগঠনের মাথায় থাকা সৌদির (Saudi Arabia) পালটা চালে রীতিমতো ধরাশায়ী ইসলামাবাদ। পাকিস্তানকে ধারে তেল দেওয়া বন্ধ করতে চলেছে সৌদি আরব। এর জেরে আর্থিকভাবে দুর্বল পাকিস্তান যে আরও বড় ধাক্কা খাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আর্থিক সংকট থেকে বাঁচতে ২০১৮ সালে সৌদি আরবের থেকে ৬.২ লক্ষ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল পাকিস্তান। সেই ঋণের অন্যতম শর্ত ছিল, ইসলামাবাদকে সৌদি আরব বছরে ৩.২ লক্ষ কোটি ডলার মূল্যের তেল (Crude Oil) ধারে সরবরাহ করবে। কিন্তু সেই চুক্তির মেয়াদ দুমাস আগে শেষ হয়ে গেলেও তা নবীকরণ করেনি সৌদি আরব। এর পিছনে পাকিস্তানের হুঁশিয়ারিকেই দায়ী করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Advertisement

[আরও পড়ুন : ভারতের সঙ্গে লড়তে ধর্মই ভরসা! নেপালে রাম মন্দির তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী ওলির]

জন্মলগ্ন থেকেই কাশ্মীর নিয়ে গলা ফাটাচ্ছে পাকিস্তান (Pakistan)। প্রতিবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে নাকাল হয়েও হাল ছাড়েনি পড়শি দেশটি। মার্কিন দরবারে কার্যসিদ্ধি না হওয়ায়, ইসলামের নাম নিয়ে মুসলিম বিশ্বে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে ধরার চেষ্টা করেছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রশাসন। যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি। এক তুরস্ক ছাড়া কোনও মুসলিম দেশই কাশ্মীর নিয়ে নাক গলাতে রাজি হয়নি। OIC থেকেও বড় ধাক্কা খায় পাকিস্তান।

Advertisement

[আরও পড়ুন : হংকংয়ে ভূলুণ্ঠিত গণতন্ত্র, বিতর্কিত চিনা আইনে গ্রেপ্তার ধনকুবের জিমি লাই]

সৌদি আরব নিয়ন্ত্রিত ইসলামিক দেশগুলির সংগঠনটি সাফ জানিয়ে দিয়েছে কাশ্মীর নিয়ে এই মুহূর্তে মাথা ঘামানোর সময় তাদের নেই। তারপরই পাক বিদেশমন্ত্রী কুরেশি চটে গিয়ে বলেন, “আমি OIC কাছে বিনম্র অনুরোধ জানাচ্ছি তারা যেন কাশ্মীর প্রসঙ্গে বৈঠক ডাকে। যদি আপনার এই কাজটি না পারেন, তাহলে আমি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে অন্য মুসলিম দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা করার কথা বলব। যে মুসলিম দেশগুলি কাশ্মীর ইস্যুতে আমাদের সঙ্গে রয়েছে এবার তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসব আমরা।” এরপরই ইসলামাবাদকে ধারে তেল দেওয়া বন্ধ করার পথে হাঁটছে রিয়াধ। এর প্রভাব যে পাকিস্তানের পক্ষেও মোটেও সুখকর হবে না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ