Advertisement
Advertisement
China

কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা দরকার, ৩৭০ ধারা বিলোপে খোঁচা চিনের

২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় মোদি সরকার।

Settle Kashmir issue through dialogue, says China। Sangbad Pratidin
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:December 13, 2023 8:36 pm
  • Updated:December 13, 2023 8:36 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত বৈধ। ১১ ডিসেম্বর রায় দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়দানের পর অনেকেই এর বিরোধীতা করেছে। স্বভাবতই ভারতের বিরোধিতায় পিছপা হয়নি পাকিস্তান। এবার এই ‘সুপ্রিম’ রায় নিয়ে মুখ খুলল চিনও।  

মঙ্গলবার কাশ্মীর ইস্যুতে শীর্ষ আদালতের রায় নিয়ে প্রশ্ন করা হয় চিনের (China) বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিংকে। যার উত্তরে তিনি বলেন, “কাশ্মীর নিয়ে ভারতের ও পাকিস্তানের মধ্যে চাপানউতোর চলছে। দুই দেশকে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে আসতে হবে। রাষ্ট্রসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা দরকার। কাশ্মীরে শান্তি ও স্থিতাবস্থা আনা প্রয়োজন। এই বিষয়ে চিনের অবস্থান আগে যা ছিল এখনও তাই আছে।” সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায়দানের পর বিরোধিতায় সরব হয় পাকিস্তান। এই রায়ের কোনও আইনি মূল্য নেই এবং ২০২৯ সালে দিল্লির সিদ্ধান্তকে একতরফা ও বেআইনি বলে তোপ দাগে ইসামাবাদ।  

Advertisement

[আরও পড়ুন: কিয়েভে মিসাইল হামলা রাশিয়ার, পুড়ল শিশু হাসপাতাল]

বলে রাখা ভালো, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি রাজ্যের মর্যাদা ছিনিয়ে নিয়ে এটিকে পৃথক দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর থেকে অনেক বিক্ষোভ-প্রতিবাদ হয়েছে ভূস্বর্গে। অশান্তি থামাতে বিপুল সংখ্যক সেনা সেখানে মোতায়েন করা হয়। বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। কাশ্মীর ইস্যুতে বিরোধীদের বাণে বারবার বিদ্ধ হয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল।

Advertisement

উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) বহু মামলা দায়ের হয়। সেগুলোকে একত্রিত করে সম্প্রতি শুনানি শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট। গত সোমবার এই মামলার রায় ঘোষণা হয়। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সহমত হয়ে জানায়, “সংবিধানের ৩৭০ ধারা একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা ছিল। যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করা হয় ৩৭০ ধারা। এই ধারা বিলোপ করে দেওয়ার অধিকার রয়েছে রাষ্ট্রপতির। সাংবিধানিক পদ্ধতিতেই ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়েছে।” 

[আরও পড়ুন: রাফায় ভয়ংকর হামলা ইজরায়েলের, রাতভর অগ্নিবর্ষণে মৃত অন্তত ২৩

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ