সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাণ বাঁচাতে এসে প্রাণ হারালেন তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ। ভয়াবহ আগুন লাগল দক্ষিণ কোরিয়ার একটি হাসপাতালে। আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪১ জন রোগীর। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ এবং দমকল সূত্রে খবর, শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার মিরাংয়ের ওই হাসপাতালটিতে আগুন লেগে যায়। সেজং নামে ওই হাসপাতালটির সঙ্গেই লাগোয়া তাদের আর একটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে সেখানেও। অগ্নিকাণ্ডের ফলে হাসপাতাল এবং নার্সিংহোম মিলিয়ে অন্তত ৮০ জন জখম হন। আহতদের মধ্যে আট জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ সূত্রে খবর, অন্তত ২০০ জন রোগী ভরতি ছিলেন সেজং হাসপাতালে।
প্রথমে আপৎকালীন বিভাগ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে দমকল দপ্তরে খবর দেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীরা। খবর যায় পুলিশের কাছেও। ঘটনাস্থলে পৌঁছবার আগেই আগুন ছড়িয়ে যায় গোটা হাসপাতাল চত্বরেও। চারদিক কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল। তবে, বেশিরভাগ রোগীকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দমকলের এক আধিকারিক চোই ম্যান-উ জানিয়েছেন, সাততলা ওই হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে থেকেই আগুন ছড়িয়েছে। সেই সময় ‘ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট’-এ ১৫ জন রোগী ভরতি ছিলেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রোগীদের বাইরে বের করে আনা হয়। মিরায়েরই অন্য হাসপাতালে তাঁদের ভরতি করা হয়। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক রোগীর বক্তব্য, ‘‘আতঙ্কে সবাই চিৎকার এবং ছোটাছুটি করছিল। আমার কেবিনের দরজা খুলেই দেখি কালো ধোঁয়ায় চারপাশ ঢেকে গিয়েছে। দম আটকে যাচ্ছিল।’’ জানলার কাচ ভেঙে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে অনেক রোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই রোগী বলেছেন, ‘‘অনেক বয়স্ক রোগী সিঁড়ি দিয়ে নামার চেষ্টা করছিলেন। আশা করি তাঁরা সুস্থ রয়েছেন।”
দেখুন ভিডিও:
Video: 31 dead, dozens wounded in South Korea hospital fire, with number of casualties expected to rise, according to Yonhap https://t.co/k2DJOxt5Rc pic.twitter.com/2RB4B4U569
— CGTN (@CGTNOfficial) January 26, 2018
Video shows patient escaping from fire that killed at least 30 people at a hospital for the elderly in South Korea. https://t.co/bTb5DNO20l pic.twitter.com/3Z7K212ndi
— ABC News (@ABC) January 26, 2018
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.