সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘হিন্দি চিনি ভাই ভাই’ বুলি আউড়েই ছয়ের দশকে ভারতের পিঠে ছুরি মেরেছিল চিন। এবারও লাদাখ সীমান্তে তেমনই করতে পারে কমিউনিস্ট দেশটি বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। সেই সন্দেহ আরও জোরাল করে চিনের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে লড়াইয়ের মহড়া শুরু করেছে লাল ফৌজ।
চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস সূত্রে খবর, সদ্য অনুষ্ঠিত সামরিক মহড়ায় কয়েক হাজার চিনা সৈন্য তথা ট্যাংক, আর্টিলারি গান-সহ ভারি সাঁজোয়া গাড়ি অংশ নিয়েছে। গত শনিবারই লাদাখে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে ভারত ও চিনের শীর্ষ সামরিক কর্তাদের মধ্যে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। দুই দেশই সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার আশ্বাস দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে লাল ফৌজের মহড়া ফের বেজিংয়ের অভিসন্ধি নিয়ে সন্দেহ জোরাল করে তুলছে। ১৯৬২ সালে ভারতের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিলেও হামলা চালিয়েছিল চিনা ফৌজ। ফলে সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নজর ঘোরাতে শান্তিপ্রক্রিয়ার কথা বলছে বেজিং বলেও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত। ফলে কোনওমতেই সীমান্তে কড়া নজরদারি শিথিল করা যাবে না।
উল্লেখ্য, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর ভারত ও চিনের মধ্যে যে সাময়িক উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তা আলোচনার মাধ্যমেই মিটিয়ে নেবে দুই দেশ। দুই দেশের সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের বৈঠকের একদিন পর এমনটাই বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। একই সুরে শান্তির বার্তা দিয়ে বিবৃতি জারি করেছে বেজিংও। তারপরও কেন সীমান্তে মহড়া চালাচ্ছে লাল ফৌজ তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। ভবিষ্যতে ভারতীয় ভুখণ্ডে যে তারা আগ্রাসন চালাবে না, এই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। সব মিলিয়ে এখনই যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে তা ভাবা ভুল বলেই মনে করছেন প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.