Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক মনগড়া কল্পনা’, মোদির দাবি উড়িয়ে বিবৃতি পাকিস্তানের

পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কোনও অভিযান চালায়নি ভারতীয় সেনা, দাবি পাকিস্তানের৷

 surgical strike a ‘figment of Indian imagination’: Pakistan
Published by: Tanujit Das
  • Posted:January 4, 2019 4:56 pm
  • Updated:January 4, 2019 4:56 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৬-র সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে আবারও ভারতের দাবি উড়িয়ে দিল পাকিস্তান৷ পাক বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জল জানাল, উক্ত অভিযান নিয়ে মনগড়া কথা বলছে ভারত৷ পুরোটাই তাঁদের কল্পনা৷ ২০১৬-র ২৯ সেপ্টেম্বর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এমন কোনও সমন্ত্রাদমন অভিযান চালায়নি ভারতীয় সেনা৷

[মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে প্রথমবার চাঁদের ‘অন্ধকার দিক’ দেখবে পৃথিবী ]

Advertisement

বছরের প্রথমদিন সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকরে ২০১৬-র সেপ্টেম্বরের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ তুলে আবারও পাকিস্তানকে একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তিনি বলেন, ‘‘একটা যুদ্ধেই পাকিস্তান শুধরে যাবে, এটা ভাবা ভুল ছিল৷ ওই দেশের শুধরাতে আরও কিছুটা সময় লাগবে৷ তবে ভারত তাঁদের উপর চাপ বাড়িয়ে যাবে৷’’ মোদির আক্রমণের পরই নড়েচড়ে বসে ইসলামাবাদ৷ তাড়াতাড়ি বিবৃতি দিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে মনগড়া কল্পনা বলে দাবি করে পাক বিদেশদপ্তর৷ ২০১৬-র ২৯ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সেনার সন্ত্রাসদমন অভিযান নিয়ে এখনও জারি রয়েছে বিতর্ক৷ অভিযানের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভারতের রাজনীতিবিদদেরই একাংশ৷ সার্জিক্যাল স্টাইকের ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেও,  কেন্দ্রকে এই ইস্যুতে বিঁধেছে কংগ্রেস৷ বিবৃতি দিতে গিয়ে ওইদিন এই বিষয়টিকেও হাতিয়ার করেছে পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রও৷ মহম্মদ ফয়জল জানিয়েছেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে দেশের অন্দরেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে মোদি সরকার৷ তাহলে কীভাবে গোটা বিশ্ব তাদের দাবিকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করবে৷

Advertisement

[নিশানায় ভারত, পাকিস্তানের জন্য অত্যাধুনিক রণতরী গড়ছে চিন]

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান বিবাদ না মেটার কারণ হিসাবেও নয়াদিল্লিকেই দায়ী করেছে মহম্মদ ফয়জল৷ পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের দাবি, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিজে চিঠি লিখেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ তিনি বলেছিলেন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যেকার বিবাদ মিটিয়ে ফেলার কথা৷ কিন্তু সেই চিঠিকে গুরুত্ব দেয়নি নয়াদিল্লি৷ এমনকী, ভারতের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ‘সীমান্তে রক্তপাত ও বৈঠক একসঙ্গে চলতে পারে না৷’ পাক বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছে, বৈঠকে ভারতের সঙ্গে সমস্ত বিষয়ে কথা বলতে প্রস্তুত ইসলামাবাদ৷ তবে, তাদের কাছে আগে প্রাধান্য পাবে জম্মু-কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ