Advertisement
Advertisement

Breaking News

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় ত্রাণ পেতে দেহ বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছেন মহিলারা

যৌনতার বিনিময়ে সাহায্য-নারকীয় পরিস্থিতি সিরিয়ায়।

Syrian Women forced to engage in flesh trade for aid: Report
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 1, 2018 8:03 pm
  • Updated:September 16, 2019 11:47 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা প্রায় সাত বছর ধরে চলছে গৃহযুদ্ধ। একদিকে আসাদের পক্ষে রাশিয়া। অন্যদিকে বিদ্রোহী শক্তিগুলিকে পরোক্ষে সাহায্য করছে আমেরিকা বা বলা যায় ন্যাটো। দুই মহাশক্তিধরের দ্বন্দ্বে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। রক্তাক্ত হচ্ছে বাচ্চারা। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ত্রাণ পেতে দেহ বিক্রিতেও বাধ্য হচ্ছেন সিরিয়ার মহিলারা।

[  সিরিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্র দিচ্ছে কিমের কোরিয়া, রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে চাঞ্চল্য ]

Advertisement

টানা যুদ্ধ, ক্লোরিন বোমা বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত সিরিয়া। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন ত্রাণ বিলির বন্দোবস্ত করেছে রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলি। কিন্তু সেই সর্ষের মধ্যেই ভূত। ‘ভয়েস অফ সিরিয়া ২০১৮’ শীর্ষক যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ত্রাণ দেওয়ার অছিলায় দেহ বিক্রিতে বাধ্য করা হচ্ছে মহিলাদের। বিশেষত যাঁরা বিধবা বা ডিভোর্সি। মানবিধাকার কর্মী হিসেবে যাঁরা পরিচয় দিচ্ছেন, তাঁরাই এক্ষেত্রে ভক্ষক। বিভিন্ন সময় মহিলাদের বাড়িতে ডেকে নেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ত্রাণ পেতে গেলে বিনিময়ে কিছু দিয়ে যেতে হবে। এবং সেভাবেই  বিকৃত যৌন ইচ্ছাপূরণ করছেন ওই কর্মীরা। রিপোর্টে প্রকাশ, কখনও ওই কর্মীরা এই মহিলাদের বিয়েও করছেন। তবে তা কোনও ভালবাসা থেকে নয়। স্রেফ তাঁদের দৈহিকভাবে ভোগ করার জন্য। স্বল্প সময়ের জন্য। শখ বা শরীরের চাহিদা মিটে গেলেই সেই মহিলাদের ছুড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ত্রাণের নামে রীতিমতো সেক্স ব়্যাকেট চলছে সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়।

Advertisement

[  বন্দুকের নলের সামনে সিরিয়ার শৈশব, ‘গৃহযুদ্ধ’ নিয়ে প্রশ্ন গোটা বিশ্বে ]

অভিযোগ, সংগঠনগুলির কাছে এ কথা জানিয়েও কোনও ফল হচ্ছে না। সব দেখেশুনেও তারা মুখ বুজে আছে। কেননা যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ সরবরাহের জন্য এই থার্ড পার্টি বা স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর নির্ভর করতে হয়। এই যৌন কেলেঙ্কারির নাটের গুরু তারাই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সামগ্রিক ত্রাণকার্যই ব্যাহত হবে। ফলে মহিলাদের যৌন নির্যাতন দেখেও অনেকাংশে চুপ করে আছে সংগঠনগুলি। এই অবশ্য প্রথমবার নয়। ২০১৫ সালেও এই একই অভিযোগ উঠেচিল। অর্থাৎ রক্তাক্ত শিশুর মতোই যুব্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার এও এক নিয়তি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ