সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনা উসকে এবার কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার-আল-আসাদ। উত্তর কোরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম ‘কেসিএনএ’ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে বার্তা পাঠিয়েছেন আসাদ। জানিয়েছেন, কিমের সঙ্গে দেখা করতে পিয়ংইয়ং আসবেন তিনি।
[১২ জুনই কিমের সঙ্গে মোলাকাত, সম্ভাবনা উসকে দিলেন ট্রাম্প]
এই খবর সামনে আসতেই বিশ্ব রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা। জুন মাসের ১২ তারিখ সিঙ্গাপুরে কিম জং উনের সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকে বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা ও মিসাইল উৎক্ষেপণ নিয়ে সদ্য দু’দেশের মধ্যে বরফ কিছুটা গলেছে। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে রাজি হয়েছেন কিম। পালটা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছেন ট্রাম্প। এমন পরিস্থিতিতে মঞ্চে আসাদের প্রবেশে নয়া সমীকরণ দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। ওয়াশিংটন-পিয়ংইয়ং সম্পর্কে রাশিয়ার ছায়াও দেখতে পাচ্ছেন অনেকে। সিরিয়ায় আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে আমেরিকা। পালটা আসাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। এবার সত্যিই যদি কিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আসাদ তবে ট্রাম্প যে অসন্তুষ্ট হবেন তা স্পষ্ট।
কয়েক দশক থেকেই সিরিয়ার সঙ্গে মজবুত সম্পর্ক রয়েছে উত্তর কোরিয়ার। আমেরিকার প্রতি বিদ্বেষই এই সম্পর্কের মূল। অভিযোগ, আসাদ বাহিনীকে রাসায়নিক হাতিয়ার জোগান দিয়েছে পিয়ংইয়ং। একইভাবে সিরিয়ার মাধ্যমে কিমের উপর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিশেষজ্ঞদের মতে কিম-ট্রাম্প বৈঠকে মোটেও খুশি নয় রাশিয়া। তাই আসাদকে পাঠিয়ে নয়া চাল দিচ্ছে মস্কো। তবে কোরিয়া সফর নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি আসাদ। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্তর কোরিয়া ও সিরিয়া দুই দেশই একঘরে। একের পর এক পারমাণবিক পরীক্ষার জেরে কিমের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত বিশ্বের তাবড় দেশ। একইভাবে বিদ্রোহ দমনের নাম রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করায় বিশ্ব মঞ্চে ব্রাত্য আসাদ। সব মিলিয়ে কোরীয় উপত্যকায় শান্তির আশা আপাতত বহাল থাকলেও আসাদের সফরে তৈরি হতে পারে জটিলতার বলেই আশঙ্কা।
[রাশিয়া বিশ্বকাপে না থেকেও থাকছে বাংলাদেশ, কীভাবে জানেন?]