Advertisement
Advertisement
তালিবান

কাতারে তালিবান-আফগান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, নজর রাখছে ভারত

আমেরিকার সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসতে পারে তালিবান।

Taliban and Afghan representatives agree to peace road map
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 10, 2019 9:43 am
  • Updated:July 10, 2019 9:43 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিংসায় বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে যুদ্ধ থামাতে এবং শান্তি ফেরাতে রাজি হল তালিবান-সহ সব পক্ষই। এই লক্ষ্যে সব পক্ষকেই নিয়ে চলছে আন্তর্জাতিক শান্তি বৈঠক। দোহায় দু’দিনের এই শান্তি আলোচনার উদ্যোক্তা জার্মানি এবং কাতার। তাতে যোগ দিয়েছেন তালিবান প্রতিনিধিরা, আফগান সরকারের প্রতিনিধিরা, আফগানিস্তানের নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা, উচ্চশিক্ষিত এবং রাজনীতিতে সক্রিয় আফগান মহিলারা।

[আরও পড়ুন: কম সময়েই মিলবে গ্রিন কার্ড! আইন আনতে ভোট মার্কিন কংগ্রেসে]

Advertisement

সোমবার আলোচনার শেষে একটি যৌথ বিবৃতিত প্রকাশ করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তালিবানের তিন প্রতিনিধিও। বিবৃতিতে সাফ বলা হয়েছে, গৃহযুদ্ধে যেভাবে অসামরিক লোকজন, শিশু ও মহিলাদের মৃত্যু হচ্ছে তা পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। নিরীহ মানুষজনের হতাহতের সংখ্যাটা শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। ধীরে ধীরে সব পক্ষই অস্ত্রবিরতি কার্যকর করবে।

Advertisement

তালিবান প্রতিনিধি দলের নেতা কারি দিন মহম্মদ হানিফ আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে করমর্দন করেন। তিনিও বলেছেন, আফগান জনগণের স্বার্থরক্ষাটা সবচেয়ে জরুরি। তাই স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, সরকারি ভবন, নদী বন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জলাধারগুলিতে কোনও হামলা চালাবে না তালিবান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন দূত জালমে খলিলজাদে। এরপর থেকে সরাসরি আমেরিকা-তালিবান শান্তি আলোচনায় বসার ডাক দেন তিনি। তাতে সহমত হন তালিবান প্রতিনিধিরাও। আমেরিকা-তালিবান প্রস্তাবিত বৈঠকের রূপরেখা খতিয়ে দেখার পরই বৈঠকে বসার ব্যাপারে সম্মতি জানাবে তালিবান। যদিও সরাসরি বৈঠকে তাদের আপত্তি নেই বলেই প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে তারা। কিন্তু মজলিশ ও শুরা (তালিবানের নিয়ন্ত্রক সভা)-তে আলোচনার পরই তারা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে। এদিনের বৈঠককে শান্তির পথে এক ধাপ এগোল বলে মন্তব্য করেছেন উপস্থিত কূটনীতিকরা। তবে কাতারের বৈঠক কতটা সফল হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে। কারণ, নানা প্রতিনিধি নিজের মতো অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। তালিবান মোটেও নিজেদের অবস্থান নমনীয় করেনি।

এদিনও তারা বলেছে, প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানির সরকার হল পশ্চিমী দুনিয়ার পুতুল সরকার। এই সরকারকে তারা মানে না। তবে আশার আলো এই যে, অসামরিক লোকজনের মৃত্যু আটকাতে এবং পরিকাঠামোর উপর যাতে আঘাত না আসে সে ব্যাপারে তারা রাজি হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানে তালিবানর সঙ্গে আমেরিকার সমঝোতা হলে, সমস্যা বাড়বে ভারতের। ওই দেশ থেকে মার্কিন সেনা সরে গেলে, হাক্কানি নেটওয়ার্ক-সহ অন্যান্য জেহাদি সংগঠনগুলিকে ভারতের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে পাকিস্তান।

[আরও পড়ুন: হোটেলে উঠবেন না, খরচ বাঁচাতে মার্কিন সফরে অভিনব উদ্যোগ ইমরানের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ