Advertisement
Advertisement

Breaking News

Haibatullah Akhundzada

মৃত্যুর গুজব উড়িয়ে অবশেষে জনসমক্ষে তালিবানের সুপ্রিম লিডার আখুন্দজাদা

কান্দাহারের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেখা গিয়েছে তালিবান সুপ্রিমোকে।

Taliban Chief Haibatullah Akhundzada makes public appearance rulling out death rumours। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:October 31, 2021 4:55 pm
  • Updated:October 31, 2021 7:25 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন পনেরো আগেই জানা গিয়েছিল তালিবানের (Taliban) সুপ্রিম লিডার হায়বাতোল্লা আখুন্দজাদা (Akhundzada) আর বেঁচে নেই। একথা মেনে নিয়েছিল তালিবান নেতারাও। কিন্তু অবশেষে সব জল্পনা মিথ্যে করে কান্দাহারে বহাল তবিয়তেই দেখা মিলল তালিবান সুপ্রিমোর। মিথ্যে হল সব জল্পনা।

আসলে গত আগস্টে তালিবানের আফগানিস্তান দখলের পর থেকে নানা ঘটনার মাঝেও একবারের জন্য জনসমক্ষে আসেনি আখুন্দজাদা। আর সেই কারণেই ক্রমশ বাড়ছিল জল্পনা। এরপর কিছুদিন আগেই শোনা যায়, আখুন্দজাদা আর বেঁচে নেই। কিন্তু অবশেষে তালিবানের এক সিনিয়র নেতা দাবি করেছে, কান্দাহারের জামিয়া দারুল আলম হাকিমিয়া নামের এক ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শনিবার হাজির ছিল আখুন্দজাদা। এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের আফগান দূতাবাসে ফিরছে তালিবান! ইসলামাবাদের অনুমতিতে জেহাদিদের স্বীকৃতির ইঙ্গিত?]

আখুন্দজাদাকে নিয়ে এমন ধন্দ অবশ্য আজকের নয়। আসলে ২০১৬ সালের পর থেকে কখনওই জনসমক্ষে আখুন্দজাদাকে দেখা যায়নি। ফলে সেই সময় থেকেই তার বেঁচে থাকা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। আসলে মোল্লা ওমরের মতো নেতার ক্ষেত্রেও তালিবান দীর্ঘদিন মৃত্যু সংবাদ চেপে রেখেছিল। তাই এবারও মনে করা হচ্ছিল, বোধহয় আখুন্দজাদার এই অন্তর্ধানের কারণও একই। অনেক আগেই খতম হয়েছে তালিবান সুপ্রিমো। কিন্তু আপাতত গোপন রাখা হয়েছে সেই খবর। ওই সময়ের পর আখুন্দজাদার কেবল একটাই ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সেই ছবি প্রকাশ করেছিল। কিন্তু ওই একটি ছবি ছাড়া আর আখুন্দজাদার উপস্থিতির কোনও প্রমাণ মেলেনি।

Advertisement

এরপরই দিন পনেরো আগে তালিবান নেতা মুমিনিন জানিয়ে দেয়, “পাকিস্তানি বাহিনীর কষা ছকেই একটি আত্মঘাতী হামলায় গত বছর শহিদ হয়েছে হায়বাতুল্লা আখুন্দজাদা।” কিন্তু সেই কথা যে ঠিক নয়, তা প্রমাণ হয়ে গেল শনিবার। কেননা এবার তালিবানের তরফে সরকারি ভাবে স্বীকার করা হল আখুন্দজাদার উপস্থিতির বিষয়টি।

[আরও পড়ুন: বিয়েবাড়িতে গান বাজানো ‘অপরাধ’, ১৩ জনকে গুলি করে মারল তালিবান!]

নব্বইয়ের দশকে আফগানিস্তানের (Afghanistan) ক্ষমতা দখল করে তালিবান। তখন হায়বাতুল্লাকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার উপর ভার পড়েছিল অপরাধ দমনের। ২০০১-এ টুইন টাওয়ার হামলার পর আমেরিকা যখন কাবুল থেকে তালিবানকে উচ্ছেদ করে,তখন আখুন্দজাদাকে তালিবান পরিষদের প্রধান করা হয়। ২০১৫-য় তালিবান প্রধান মোল্লা আখতার মনসুর তার সহকারী হিসেবে নিযুক্ত করে হায়বাতোল্লাকে। ২০১৬-য় মার্কিন ড্রোন হামলায় মনসুর নিহত হওয়ার পর তালিবানের রাশ ধরে হাইবাতুল্লা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ