Advertisement
Advertisement
China

দোহায় চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক তালিবানের উপপ্রধানমন্ত্রী বরাদরের

আমেরিকার উদ্বেগ বাড়িয়ে আরও কাছাকাছি তালিবান ও চিন।

Taliban deputy PM Baradar meets Chinese foreign minister | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 26, 2021 4:32 pm
  • Updated:October 26, 2021 4:32 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার উদ্বেগ বাড়িয়ে আরও কাছাকাছি তালিবান ও চিন। এবার কাতারের রাজধানী দোহায় চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আফগানিস্তানের তালিবান (Taliban) সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লা বরাদর।

[আরও পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে সুর নরম তুরস্কের, আঙ্কারার নীতি পরিবর্তনে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান]

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সোমবার দোহায় চিনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসে তালিবানের প্রতিনিধিরা। তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদকে উদ্ধৃত করে ‘খামা প্রেস’ জানিয়েছে, যুদ্ধজর্জর আফগানিস্তানের রাজনৈতিক ও আর্থিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয় দুই পক্ষের মধ্যে। এছাড়া, ওয়াং ই-র নেতৃত্বে চিনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দু’দিনের আলোচনা সভায় অংশ নেবেন আফগানিস্তানের কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী আমির খান মোতাকি। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে ওই বৈঠকে বলে খবর।

Advertisement

বিশ্লেষকদের মতে, তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি না দিলেও জেহাদি সংগঠনটির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে চাইছে। কারণ, তালিবানর উত্থানে শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর বিচ্ছিন্নতাবাদ ও মুসলিম জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্তের আশঙ্কা করছে বেজিং। একইসঙ্গে আমেরিকাকে বেকায়দায় ফেলতে হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো জেহাদি সংগঠনগুলির কার্যকলাপে সেই অর্থে আপত্তি জানাবে না বেজিং।

Advertisement

গত আগস্ট মাস থেকেই তালিবানি শাসন কায়েম হয়েছে আফগানিস্তানে। আর সেই শাসনকালের শুরু থেকে আতঙ্কে ভুগছেন উইঘুর মুসলিমরা (Uyghurs Muslim)। আফগানিস্তানে থাকা উইঘুরদের চিনে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্বের একাধিক মানবাধিকার সংগঠন। ২০০৯ সালে শিনজিয়াং প্রদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা হওয়ার পর থেকেই উইঘুর মুসলিমদের উপর রাশ টেনেছে চিন। সেখানে উইঘুর (Uighurs) ও অন্য মুসলিম (Muslim) জনগোষ্ঠীর ওপর জুলুমের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কয়েকদিন আগে বিবিসির তরফে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, বন্দিশিবিরে থাকা মুসলিম মহিলাদের উপর পরিকল্পনা করে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে চিন।

উল্লেখ্য, তালিবানের আফগানিস্তান (Afghanistan) দখলকে কেবল পাকিস্তানই নিজেদের জয় হিসেবে দেখছে না। ভারতের আরেক প্রতিবেশী চিনও তালিবানের প্রত্যাবর্তনে খুশি। যদিও ২০১৯ সাল থেকেই যেভাবে বেজিং তালিবানের প্রতি ‘সহমর্মিতা’ দেখিয়েছে, সেটা মাথায় রাখলে তাদের এই মানসিকতা নতুন নয়। চিনের এই তালিবান-প্রীতি ভারতের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

[আরও পড়ুন: ব্রিটেনে হদিশ মিলল কোভিডের আরও ভয়ংকর প্রজাতির! ভারতেও প্রবেশের আশঙ্কা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ