BREAKING NEWS

১৬ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  বুধবার ৩১ মে ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

হোয়াইট হাউসের বাইরে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ, ভয়ে গোপন বাঙ্কারে ঠাঁই ট্রাম্পের

Published by: Paramita Paul |    Posted: June 1, 2020 11:01 am|    Updated: June 1, 2020 1:40 pm

Tear gas fired clashes outside White House over Black Man's death

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হুঁশিয়ারি, পুলিশি নির্যাতন, সেনা নামিয়ে আন্দোলন দমনের চেষ্টা। কৃষ্ণাঙ্গদের বিক্ষোভ থামাতে ট্রাম্প প্রশাসনের কোনও কারিকুরিও কাজে এল না। উলটে হোয়াইট হাউস, মার্কিন কংগ্রেসের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়। তাতেঅবশ্য লাভ হয়নি। বরং আন্দোলনকারীদের ভয়ে কার্যত হোয়াইট হাউসের গোপন বাঙ্কারে সাময়িক আশ্রয় নিতে হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দোর্দণ্ডপ্রতাপ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। যা এক কথায় নজিরবিহীন। মার্কিনীরা বলছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময় এমন ঘটনা ঘটেনি।

শেতাঙ্গ পুলিশের হাঁটুর চাপে প্রাণ গিয়েছে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের। তারপর থেকেই কৃষ্ণাঙ্গ আন্দোলনে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্ত। ইতিমধ্যে চার পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তারপরেও ক্ষোভের আঁচ কমেনি। উলটে ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলেছে প্রেসিডেন্টের একের পর এক টুইট। কখনও লিখেছেন, আন্দোলনের নামে লুঠপাট চলছে। আবার কখনও বলেছেন, লুটিং লিডস ট শুটিং। একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তিনি। সমালোচনা করেছেন বিশ্বের বিশিষ্ট মানুষেরা। তাতেও অবশ্য ট্রাম্পের কোনও হেলদোল নেই। উলটে হোয়াইট হাউসের প্রাচীর টপকে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করা হলে হিংস্র কুকুরদের ভয়ংকর অস্ত্র দিয়ে তাদের অভ্যর্থনা করা হত। বলাই বাহুল্য তাঁর এই মন্তব্যে বিক্ষোভের আগুন ঘি ঢেলেছে।

[আরও পড়ুন: চিনের উসকানিতে ফের সক্রিয় নেপাল! মানচিত্র বদলাতে সংবিধানে সংশোধনী আনছে কাঠমান্ডু]

ষষ্ঠদিনেও বিক্ষোভের আগুনে তপ্ত আমেরিকা। যুক্তরাষ্ট্রের বড় শহরগুলিতেও ক্রমে ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদের আঁচ। লকডাউনের তোয়াক্কা না-করে, বিভিন্ন প্রান্তে ১০ হাজারেরও বেশি মার্কিনি প্রতিবাদে শামিল হন। বিক্ষোভকারীরা এদিন ফোর্ট গ্রিন পার্কে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। একাধিক দোকানেও ভাঙচুর করা হয়। কয়েক’শো প্রতিবাদী ক্লিনটন হিলের ৮৮ তম এলাকা ঘিরে ফেলেন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে একপর্যায়ে কাঁদানে গ্যাসও ছোড়ে পুলিশ। পরিস্থিতি ক্রমে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে থাকায়, মিনিয়াপোলিস ও সেইন্ট পল শহরে কারফিউ জারি করা হয়। এদিকে হোয়াইট হাউসের কাছে এক ছোট পার্কে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। ছোঁড়া হয় টিয়ার গ্যাসও। তাতেও লাভ হল না। ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের খাস মহলের বাইরেই ফুঁসছেন আন্দোলনকারীরা। আর গোপন বাঙ্কারে বসে সেই আন্দোলন দমানোর কৌশল খুঁজছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

[আরও পড়ুন: লকডাউন উঠতেই স্পেনে গিয়ে পার্টি, নিয়ম ভেঙে করোনা আক্রান্ত বেলজিয়ামের রাজকুমার]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে