সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমাগত গোটা বিশ্বের চক্ষুশূল হয়ে উঠছে চিন। কোনঠাসা হচ্ছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও। করোনা পরবর্তী সময়ে গত তিনমাস ধরে করা এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
মার্কিন সংস্থা Pew Research Center গত জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ১৪টি দেশের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের উপর সমীক্ষা করে। টেলিফোনের মাধ্যমে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাতেই দেখা যায় গোটা বিশ্ব করোনা মহামারী পরিস্থিতি, কোভিড সংক্রমণ সামাল দেওয়া নিয়ে চিনের উপর ক্ষিপ্ত বহু দেশের মানুষই। চিন (China) ও তার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ও জার্মানির মানুষজন। মঙ্গলবার এই সমীাক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করে ওই সংস্থাটি।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই সমীক্ষা চলছে। কিন্তু কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে চিনের প্রতি আমজনতার নেতিবাচক মনোভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। চিনের বিরুদধে সবচেয়ে বেশি বিষোদগার করছেন অস্ট্রেলিয়ার মানুষ জন। জুন থেকে আগস্টের মধ্যে এই ধরণে মানসিকতা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৪ শতাংশ। সে দেশের মোট ৮১ শতাংশ নাগরিক চিনকে অপছন্দ করে।ব্রিটেবে চিনকে অপছন্দের মাত্রা ১৯ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হউসের ক্ষমতা দখলের পর থেকে চিনের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ শতাংশ। এর মধ্যে ১৩ শতাংশ বেড়ে কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে।
যাঁদের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন কোভিড পরিস্থিতি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আর তার ফলেই বিশ্বে করোনা মহামারীর আকার নিয়েছে। আবার ৭৮ শতাংশ মানুষের ধারণা চিন বা তাঁর প্রেসিডেন্ট বিশ্বের জন্য ভাল কিছু করতে পারেন না। অধিকাংশ দেশের মানুষই জিনপিংয়ের উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছেন।
তবে মজাদার বিষয় হল, জিনপিংয়ের পরই সেই মানুষগুলোর অপছন্দের তালিকায় রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিও সঠিকভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচনের আগে এই তথ্য যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চাপে রাখবে, তা বলাই বাহুল্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.