Advertisement
Advertisement

‘কে ব্যবহার করছে জানি না’, মোদির আফগান লাইব্রেরি নিয়ে কটাক্ষ ট্রাম্পের      

বই ছেড়ে বন্দুকেই ভরসা ট্রাম্পের!

Trump's Afghan library dig at Modi
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 3, 2019 10:31 am
  • Updated:January 3, 2019 10:31 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৌজন্যের ধার ধারেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বেফাঁস ও আলটপকা মন্তব্য করতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। তাঁর পূর্বসুরী ওবামার আমলে যত্নে গড়ে তোলা কূটনৈতিক সম্পর্কগুলিকে মুহূর্তে ভেঙে ফেলতে দ্বিধা নেই তাঁর। খামখেয়ালিপনার চূড়ান্ত করে এবার আফগানিস্তান প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, যুদ্ধ জর্জরিত দেশটিতে ভারতের তৈরি লাইব্রেরিগুলির কোনও কাজে লাগছে না।

প্রতিরক্ষা নিয়ে ওয়াশিংটনে একটি ক্যাবিনেট মিটিংয়ের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন ট্রাম্প। বিদেশে মার্কিন হস্তক্ষেপ ও খরচ কমিয়ে তোলার সপক্ষে একাধিক যুক্তি দেন তিনি। তখনই কথা প্রসঙ্গে আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে ভারতের বিনিয়োগের কথা তুলে ধরেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আফগানিস্তানে ভারত একটি লাইব্রেরি তৈরি করেছে। তা সেটি মনে হয় না কোনও কাজে লাগছে। জানি না সেটি কে ব্যবহার করছে।  আমাকেও বহুবার ওই দেশটিতে লাইব্রেরি তৈরির জন্য অনুরোধ করেছেন মোদি।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন বয়ানে রীতিমতো তৈরি হয়ছে বিতর্ক। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে শিক্ষা কতটা প্রয়োজনীয় তা যেন বুঝেও বুঝতে চাইছেন না ট্রাম্প। উলটে ভারতের পুনর্গঠনে সাহায্য নিয়ে কটাক্ষ করছেন তিনি। মার্কিন হামলায় কাবুল থেকে তালিবান পাততাড়ি গোটানোর পর আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে এপর্যন্ত প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে ভারত।প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছিলেন, মৌলবাদের কবল থেকে দেশটিকে বের করে আনতে যুবপ্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষায় বলীয়ান হতে সহায্য করা হবে।কাবুলে একটি আধুনিক স্কুল তৈরি করে দিয়েছে ভারত। এছাড়াও প্রতিবছর ১ হাজার আফগান পড়ুয়াকে স্কলারশিপ দেয় দিল্লি। গণতন্ত্র মজবুত করতে আফগানিস্তানের সংসদ ভবনটিও তৈরি করে দিয়ছে ভারত।

Advertisement

সব মিলিয়ে মুজাহিদ ও তালিবানের মতো ধর্মান্ধ শক্তিগুলির হাত থেকে আফগানিস্তানকে মুক্ত করতে সবরকম সাহায্য করছে ভারত। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমল থেকেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে থাকে দিল্লি। ওবামা ও মোদির আমলে তা আরও দৃঢ় হয়।একাধিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করে দুই দেশ। তবে ট্রাম্পের এহেন আলটপকা মন্তব্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও সিরিয়া ও আফগানিস্তান নিয়ে ট্রাম্পের নীতিতে খুশি নয় ন্যাটো দেশগুলিও। নিজেকে শুধরে না নিলে বিশ্বমঞ্চে একা হয়ে পড়বে আমেরিকা।        

Advertisement

[বাজল যুদ্ধের দামামা! ১০ হাজার মার্কিন সেনাকে হত্যার হুমকি চিনের]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ