Advertisement
Advertisement

প্রকাশ্যে বাকযুদ্ধ ট্রাম্প-ইমরানের, তলানিতে পাক-আমেরিকা সম্পর্ক

তবে কি বন্ধু আমেরিকার বন্ধুত্ব হারাতে চলেছে পাকিস্তান?

Twitter war between Trump-Imran
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 20, 2018 6:47 pm
  • Updated:November 20, 2018 6:47 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিযোগ-পালটা অভিযোগ! দিনভর টুইটারে এ নিয়েই ব্যস্ত থাকলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। প্রথম নাম ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় ইমরান খান। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সোমবার যে টানা টুইট-যুদ্ধ চলল, সাম্প্রতিক কালে তা আগে ঘটেনি বলেই জানাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।

 

Advertisement

‘সন্ত্রাস দমনে কাজের কাজ কিছুই করেনি পাকিস্তান–’ এই মর্মে অভিযোগ তুলে পাকিস্তানকে আর্থিক অনুদান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। এই কথাটিই দিন কয়েক আগে ফক্স নিউজের একটি সাক্ষাৎকারে ফের জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাকিস্তান যে আল কায়দা প্রধান লাদেনকে দীর্ঘদিন সে দেশে আশ্রয় দিয়েছিল, সে প্রসঙ্গ তুলেও সেই সাক্ষাৎকারে তোপ দেগেছিলেন ট্রাম্প। সোমবার টুইটে ট্রাম্পের সেই সব অভিযোগেরই জবাব দেন ইমরান। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানের ব্যর্থতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দুনিয়ার চোখে এই দেশকে বলির পাঁঠা না করে আমেরিকার উচিত অন্তত একবার নিজেদের দিকে তাকানো। ওয়াশিংটনকে উত্তর দিতে হবে কেন ১,৪০,০০০ ন্যাটোবাহিনী-সহ ২,৫০,০০০ আফগান সেনা মোতায়েন করা এবং প্রচুর মার্কিন ডলার ব্যয় করা সত্ত্বেও আফগানিস্তানে তালিবানরা আগের থেকে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে?” এতেই না থেমে ইমরান দ্বিতীয় টুইটে আরও লেখেন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ৭৫,০০০ পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে। ইসলামাবাদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর যে মার্কিন সাহায্য নিয়ে এত কথা হচ্ছে, তার পরিমাণ মাত্র ২০ বিলিয়ন ডলার!”

পাক প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় টুইট, “আমাদের উপজাতীয় এলাকা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহীন। তা সত্ত্বেও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওয়াশিংটনকে বিনামূল্যে নিজেদের আকাশ এবং মাটি ব্যবহার করতে দিচ্ছে ইসলামাবাদ। এত আত্মত্যাগ আর কোন দেশ করছে, ট্রাম্প জানাতে পারবেন?”  ইমরানের এই টুইটের চার ঘণ্টা পরই কড়া ভাষায় উত্তর দেন ট্রাম্প। তিনি লেখেন, “হ্যা। অবশ্যই আমেরিকা আরও আগে লাদেনকে ধরতে পারত, যদি পাকিস্তান তথ্য না লুকোত। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার আগেই আমি নিজের বইয়ে লাদেনের মুখোশ খুলে দিয়েছিলাম। বছরের পর বছর আমরা পাকিস্তানকে কোটি কোটি ডলার অনুদান দিয়েছি। কিন্তু ওরা একবারও জানায়নি যে লাদেন ওখানেই রয়েছে। উন্মাদ! ওরা আমাদের থেকে সাহায্য নেয় অথচ সন্ত্রাস দমনে কিচ্ছু করে না। লাদেন আর আফগানিস্তান তারই উদাহরণ।”

[মার্কিন পানশালার বাথরুমে হিন্দু দেবতাদের ছবি, প্রতিবাদ প্রবাসী ভারতীয়র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ