Advertisement
Advertisement

Breaking News

দাউদ ঘনিষ্ঠ ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গিকে পকিস্তানের হাতে তুলে দিল আমিরশাহী

ভারতের বদলে কেন তুলে দেওয়া হল পাকিস্তানের হাতে?

UAE hands over Dawood Ibrahim aide to Pakistan
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 13, 2018 3:57 pm
  • Updated:July 13, 2018 7:32 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাস দমনে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ভূমিকা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। সম্প্রতি ওই দেশ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল ফারুক দেবদিওয়ালা। কিন্তু ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার বদলে দেশটি সেই অপরাধীকে তুলে দিল পাকিস্তানের হাতে। এই ফারুক দেবদিওয়ালা শুধু মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনালই নয়, সে ডন দাউদ ইব্রাহিমের অন্যতম কাছের লোক। বিজেপি নেতা হরেন পান্ডেকে খুনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

জানা যাচ্ছে, মুম্বইয়ের যোগেশ্বরী এলাকার স্যাম নামে এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। দু’জনকে একসঙ্গে দুবাইয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। ফারুকের সঙ্গে স্যামকেও পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। প্রায় এক সপ্তাহ আগে কাজটি মিটিয়ে ফেলেছে তারা।

Advertisement

[ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গীতা বিতরণের সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্র সরকারের, তুঙ্গে বিতর্ক ]

Advertisement

উল্লেখ্য, ফারুককে গ্রেপ্তার করার আগে এই মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনালের সমস্ত তথ্য দুবাইকে জানিয়েছিল ভারত। কারণ, ভারতীয় অফিসাররা ফারুক দেবদিওয়ালাকে নিয়ে বহুদিন ধরে তদন্ত করছিল। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-ও একই কাজ করছিল। তখনই উভয় দেশের গোয়েন্দাদের কাছে খবর আসে ফারুক সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে রয়েছে। এরপর পাকিস্তান দাবি করে ফারুক ভারতের নয়, পাকিস্তানের নাগরিক। ইউএই সরকারের মতে, এই কারণেই ফারুককে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় গোয়েন্দাদের মতে, ভুয়ো তথ্য দেখিয়ে ফারুকের হেফাজত নিয়েছে পাকিস্তান। এই ভুয়ো তথ্য বানানোর কাজে আইএসআই সাহায্য করেছে। সূত্রের খবর, এমন অনেক জঙ্গি আছে, যারা ভারতের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড। কিন্তু ঘটনাচক্রে তাদের বিদেশের মাটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এইসব জঙ্গির জন্য একটি বিশেষ সেল গঠন করেছে আইএসআই। ভারত যাতে এই জঙ্গিদের নিজেদের হেফাজতে না নিতে পারে, তাই আইএসআই-এর এই ব্যবস্থা।

কেড়ে নেওয়া হোক মাদার টেরিজার ভারতরত্ন, দাবি আরএসএসের ]

ফারুক দেবদিওয়ালার বিরুদ্ধে শুধু গুজরাটের মন্ত্রী হরেন পান্ডেকে খুনের অভিযোগ রয়েছে, তা নয়। দাউদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগে সে মুসাফিরখানার অর্জুন গ্যাংয়ের সদস্য ছিল। এছাড়া ডি-গ্যাংয়ের সেলিম কুট্টার সঙ্গেও কাজ করেছে ফারুক।

তবে এই প্রথমবার কোনও জঙ্গির হেফাজত নেওয়ার জন্য পাকিস্তান এমন কাজ করেছে, তা নয়। এর আগেও পাকিস্তান এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। দাউদের নির্দেশে যে ছোটা রাজনকে গুলি করেছিল সেই মুন্না ঝিংগাড়ার হেফাজত নেওয়ার জন্যও এমন কাজ করেছিল পাকিস্তান।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ