সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা পৃথিবী জুড়ে পালিত হচ্ছে খুশির ইদ। নমাজ পাঠ, খাওয়াদাওয়া, উপহার দেওয়া নেওয়ায় মেতে উঠেছেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ। যে কোনও উৎসবই পারে সবাইকে এক করে দিতে। আর ইদেও চতুর্দিকে ফ্রেমবন্দি সম্প্রীতির ছবি। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার ছবিটাও একইরকম। খুশির ইদে সামিল যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার কচিকাঁচারা। নতুন জামা, জুতো নিয়ে ইদের আনন্দে সামিল পাঁচশো শিশু। সৌজন্যে শিখ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, খালসা এড।
[নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ডোনাল্ড ট্রাম্প!]
যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার কচিকাঁচাদের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করে থাকে এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। চলতি বছর যুদ্ধবিধ্বস্ত মসুলেও নানা কাজ করেছে তারা। খুশির ইদেও মসুলের উদ্বাস্তু শিবিরে থাকা শিশুদের হাতে নতুন জামা, জুতো তুলে দেয় খালসা এড। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সৌজন্যে উপহার পেয়ে যুদ্ধের আতঙ্কে ফ্যাকাসে মুখগুলিতে ফুটে ওঠে হাসির ঝিলিক।
শুধু ইদেই নয়, রমজানেও উপোসীদের খাবার দিয়ে সাহায্য করে খালসা এড। লেবানন ও ইরাকের উদ্বাস্তু শিবিরে থাকা ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা গোটা মাস ধরে উপোস করে দিন কাটিয়েছেন। রোজা শেষে প্রতিদিনই ওই শিবিরে থাকা উপোসী মানুষগুলির জন্য খাবারও বিলি করে এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এমনকী, ওই খাবার তৈরির জন্য লেবাননের স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়াও বাঁধে তারা। দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যৌথ প্রয়াসে তৈরি হয় “রমজান কিচেন”।স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রায় প্রত্যেক সদস্যই হাত লাগান রান্নাবান্নায়। রমজান মাসভর অন্তত পাঁচ হাজার উপোসী মানুষ এই খাবারও খেয়েছেন।
যুদ্ধের জন্য ঘরবাড়ি ছেড়ে উদ্বাস্তু শিবিরে বাস করছেন হাজার হাজার মানুষ। খালসা এডের সৌজন্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত কচিকাঁচারা যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আর সেটাই খালসা এডের স্বার্থকতা, দাবি সংস্থার সদস্যদের।
[নমাজ পড়ে বেরতেই পরপর গুলি, হত আওয়ামি লিগের নেতা’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.